Logo

‘মার্চ টু যমুনা’: শ্রমিক-পুলিশ মুখোমুখি

আন্দোলনের বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বাসভবনকে কেন্দ্র করে কাকরাইল ও এর আশপাশের যেকোনও ধরনের আন্দোলন ও বিক্ষোভ মিছিল নিষিদ্ধ।

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর কাকরাইলে মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে যায় বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠান টিএনজেড গ্রুপের আন্দোলনরত শতাধিক শ্রমিক।

দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় শ্রম ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে শ্রমিকরা কাকরাইল মোড় হয়ে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের দিকে অগ্রসর হন। তবে ৩টার দিকে তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন এবং সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এসময় শ্রমিকরা ‘বেতন চাই, বোনাস চাই—চূড়ান্ত হিসাব আজই চাই’; ‘১৪ মাসের ঘাম কোথায়? টিএনজেড জবাব চাই!’; ‘মেহনতি মানুষের ঘাম বৃথা যেতে পারে না’; ‘যেখানে বেতন নেই, সেখানে শান্তি নেই!’ এবং ‘আমরা চাই না দয়া, চাই ন্যায্য পাওনা’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।এর আগে সকাল ৯টা থেকেই শ্রমিকরা জাতীয় শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

এদিকে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে আজও আন্দোলনরত শ্রমিকদের বাধায় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল সোমবারের (১৯ মে) মতো আজ সকাল ৯টা থেকেই শ্রম ভবনের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন স্টাইল ক্রাফট ও ইয়াং ওয়ান্স বিডি’র শ্রমিকরা।

স্টাইল ক্রাফটের শ্রমিক নেতা রাজু আহমেদ জানান, ‘গতকাল (সোমবার) আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য আজও শ্রম ভবনে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।’

তিনি বলেন, টিএনজেড গ্রুপের ১,০৫৮ জন শ্রমিকের ১৪ মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস মিলিয়ে মোট ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এসব পাওনা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম জানান, ‘রমজানের ঈদের আগে আমাদের ১৭ কোটি টাকা পাওনার স্থলে শ্রম সচিব ৩ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেওয়া হয় মাত্র ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এটা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা।’

এদিকে শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বাসভবনকে কেন্দ্র করে কাকরাইল ও এর আশপাশের যেকোনও ধরনের আন্দোলন ও বিক্ষোভ মিছিল নিষিদ্ধ। আন্দোলনকারীরা কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কিংবা পুলিশের ব্যারিকেট ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের প্রতিহত করবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাফ্লো/আফি

Leave a Comment

Comments 0