ডেস্ক রিপোর্ট: গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভলকার তুর্কের সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ প্রচারিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন-পীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ।
সেনাবাহিনী বলছে, তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো বার্তা পায়নি। যদি কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, সেটি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হতে পারে, সেনাবাহিনীকে নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করে। সেনাবাহিনীর দাবি, ভলকার তুর্কের মন্তব্য কিছু মহল ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যা তাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী উল্লেখ করেছে,
শান্তিরক্ষা মিশনের প্রসঙ্গ : সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর পেশাদারিত্ব স্বীকৃত। গত ২৩ বছরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে অর্জিত ২৭ হাজার কোটি টাকা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে বলে জানানো হয়।
আলোচনার আহ্বান : সেনাবাহিনী বলেছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে এবং যেকোনো বিভ্রান্তি বা উদ্বেগ দূর করতে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।
উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ বিবিসির ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে ভলকার তুর্ক বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দমন-পীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করার পর দেশটিতে পরিবর্তন হয়।’
এর জবাবেই আজ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।