ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণের নামে একটি অপরিচিত ফার্মকে ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, এই ফার্মের নাম আগে কেউ শোনেনি এবং এতে মাত্র দুজন কর্মী কাজ করে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসিতে গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে এমন এক ফার্মকে, যার নাম আগে কেউ শোনেনি। তারা ২৯ মিলিয়ন ডলারের চেক পেয়েছে। ওই সংস্থায় মাত্র দুজন কাজ করেন। আমি মনে করি তারা খুব খুশি, তারা খুবই ধনী।'
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম স্থগিতের পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিওজিই (যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতাবিষয়ক বিভাগ) বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১টি দেশে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা বাতিল করে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ২৯ মিলিয়ন ডলার এবং ভারতের জন্য ২১ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
ট্রাম্প ভারতকে দেওয়া অনুদান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, '২১ মিলিয়ন ডলার ভারতকে দেওয়া হয়েছে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য। আমিও তো চাই ভোটার উপস্থিতি বাড়ুক।'
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল)' প্রকল্পটি ইউএসআইডি ও ডিএফআইডি-এর অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এর লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি, দল ও জনগণের মধ্যে সংযোগ শক্তিশালী করা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা কমানো। প্রকল্পটি ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলার কথা ছিল।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য বাংলাদেশে বৈদেশিক সহায়তা বিতরণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে।