Logo

৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণে রাজি হয়েও শিশুকে জীবিত ফেরত পায়নি বাবা

ফতুল্লায় নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর ৯ বছর বয়সী বাইজিদ আকনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ফতুল্লায় নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর ৯ বছর বয়সী বাইজিদ আকনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক আসামি ফেরদৌস আলীর (২৯) স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুইড়া এলাকার একটি ইটভাটার ঝোপ থেকে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়।

নিহত বাইজিদ আকন ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার শাহানাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া সাইফুল আকনের ছেলে। আটক ফেরদৌস আলী একই বাড়িতে ভাড়াবাসী ছিল এবং শিশুটির প্রতিবেশী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাইজিদ আকন নিখোঁজ হয়। রাতে এক ব্যক্তি শিশুটির বাবা সাইফুল আকনের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে রাজি হলেও কলকারীর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরদিন সকালে সাইফুল আকন ফতুল্লা মডেল থানায় নিখোঁজের জিডি করেন।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে ফেরদৌস আলীকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, পূর্ববর্তী বিরোধ ও ক্ষোভের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফেরদৌস প্রায়ই বাইজিদকে দিয়ে পান-সিগারেট কিনে আনাতো। একদিন এ নিয়ে শিশুটির বাবার সঙ্গে ফেরদৌসের তর্ক হয়। এর প্রতিশোধ নিতেই শিশুটিকে চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে ফেরদৌস।

পুলিশ জানায়, মুক্তিপণের টাকা চাওয়ার আগেই শিশুটিকে হত্যা করা হয়। ফেরদৌসকে ফতুল্লা থানায় নিয়ে এসে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।