Logo

তথ্য উপদেষ্টার মাথায় বোতল নিক্ষেপ: অধ্যাপক রইসউদ্দীনের দুঃখ প্রকাশ

পুলিশের হামলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ না করে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনাকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি ভালভাবে নেয় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার (১৪ মে) রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে কথা বলার এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে একটি প্লাস্টিকের খালি পানির বোতল ছুড়ে মারা হয়। এই ঘটনায় সন্দিগ্ধ যুবককে খুঁজছে পুলিশ। ওই যুবককে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইসউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমাদের এখানে একজন উপদেষ্টা এসেছিলেন। তার সঙ্গে একটি বোতল কাণ্ড ঘটেছে। আমি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে তারও দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল।‘

বোতল ছুড়ে মারার ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে এক যুবক বোতল ছুড়ে মারে। ওই যুবকের মাথায় ছিল ক্যাপ। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ বোতল ছুড়ে মারা ছাত্রের পরিচয় শনাক্ত করে। ছেলেটির নাম ইশতিয়াক হোসেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৯তম ব্যাচের (২৩-২৪ সেশন) অর্থাৎ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

এই ঘটনা নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির কয়েকজন নেত্রীবৃন্দ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে, ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি এবং পুলিশের হামলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ না করে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনাকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি ভালভাবে নেয় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকের সংগঠন 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব' এর সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ বলেন-

'আমাদের শিক্ষকরা যারা ছিলেন, সবাই কম-বেশি আহত। গুরুত্বর আহত প্রায় ত্রিশজন শিক্ষার্থী। ছোটো জখম মিলিয়ে আহত শতাধিক। সাংবাদিক আহত ৫ জন। আমাদের সত্তোর ছোঁয়া উপাচার্য স্যারকে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়েছে বাইরে। লাঠি আর টিয়ার গ্যাস খেয়ে পেট ভড়ানো ছেলে-মেয়েগুলোর সাথে উপদেষ্টা কেমন 'হয়তো উষ্কানি' ব্যবহার করে প্রহসন করলেন তা হাসনাত, সারজিস, হান্নান মাসুদদের চোখে পড়েনি। চোখে পড়েছে বোতল কান্ড।'

এদিকে, বোতল কাণ্ডে শনাক্ত হওয়া ছাত্রের ব্যাপারে উপদেষ্টারা বাড়াবাড়ি কোন ব্যাবস্থা নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে এবং নিজেদের সতীর্থের পক্ষে দাঁড়াবেন বলে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছেন।   

বাংলাফ্লো/আফি

Leave a Comment

Comments 0