বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পরিষদকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (১৬ জুন) ইসির উপসচিব দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহানের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দরজা জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছোট খাট মেরামত/সংস্কার প্রয়োজন তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃতব্য স্থাপনাসমূহের সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্যাদি বিশেষ প্রয়োজন। উক্ত তথ্যাদি সংগ্রহপূর্বক আগামী ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখের মধ্যে অত্র সচিবালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হলো।
গত ৪ এপ্রিলে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দরজা জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছোট খাট মেরামত/সংস্কার প্রয়োজন তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নিজস্ব অর্থায়নে। সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সদয় পরামর্শ প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ কর্তৃক তাদের নিজস্ব অর্থায়নে যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নাই সেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং ছোট খাট মেরামত বা সংস্কারপূর্বক ভোটগ্রহণ উপযোগীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যও পরামর্শ প্রদান করেছেন।
এতে বলা হয়, এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক তার অধিক্ষেত্রাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ছোট খাট সংস্কার কাজের জনা প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ ছাড় করা হয়ে থাকে। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকায় যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছোট ঘাট সংস্কার/মেরামত প্রয়োজন হবে তা চলতি অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠান প্রতি বরাদ্দকৃত অর্থ দ্রুত ছাড় করা হলে এ অর্থ দ্বারা উলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্কার/মেরামত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন মনে করে।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, ইতোপূর্বেকার ভোটকেন্দ্রের তালিকায় উল্লিখিত যেসকল প্রতিষ্ঠানে সংস্কার/মেরামতের প্রয়োজন হবে তা সংস্কারপূর্বক ভোটগ্রহণ উপযোগীকরণ এবং ছোট খাট সংস্কার কাজের মাধ্যমে তা উপযোগী করার উদ্দেশ্যে চলমান ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রতিষ্ঠান প্রতি বরাদ্দকৃত অর্থ জরুরি ভিত্তিতে ছাড়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং ছোটখাট সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং অন্যান্য নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসার থেকে সরবরাহ করা হবে।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৪৪ হাজারের মতো ভোট কেন্দ্র ছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল, ভোট কক্ষ ছিল ২ লক্ষাধিক। দশম সংসদ নির্বাচনে ৩৭ হাজার ৭০৭টি; ভোট কক্ষ ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। নবম সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র ছিল ৩৫ হাজার ২৬৩টি; ভোট কক্ষ ছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৭৭টি।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0