Logo

‘বেশি লাভের আশা করছি না, অল্প দামেই গরু ছেড়ে দিতে চাই’

মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের বাজেট ও সাধের সমন্বয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা:  আর মাত্র একদিন পরই ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম আকর্ষণ পশু ক্রয়, যা এবার সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের বাজেট ও সাধের সমন্বয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য মাঝারি ও ছোট আকারের গরু কোরবানি দেওয়া। অনেকে আবার মাংসের স্বাদের বিবেচনায় দেশীয় গরু কিনতে চান।

সবকিছু মিলিয়ে তুলনামূলক মাঝারি কিংবা ছোট গরুর চাহিদা বেশি। বিক্রিও বেশি হচ্ছে। ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, দাম গত বছরের তুলনায় বেশি।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজধানীর তেজগাঁও টেকনিক্যাল মাঠে আয়োজিত গরুর হাট ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

রাস্তার পাশে গরুর হাট বসানোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলজুড়ে হাট ছড়িয়ে পড়েছে। হাটে ৭০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা দামের গরু উঠেছে। বাজেট ও ব্যবস্থাপনার সুবিধার কারণে ক্রেতারা বেশি ঝুঁকছেন ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকার গরুর দিকে।

তেজগাঁও হাটে আসা এক ক্রেতা বলেন, সবাই বড় গরু নিতে চায়। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা ছোট ও মাঝারি আকারের গরু কেনা। প্রয়োজনে একাধিক নিতে চাই। তবে বাজারে এসে মনে হয়েছে, বাজারে চাহিদা ও দামের দিক থেকে তুলনামূলকভাবে দাম বেশি। কারণ দেশি গরুর সরবরাহ তুলনামূলক কম।

বিক্রেতারা বলছেন, আমরা এবার বড় গরুর চেয়ে মাঝারি আকারের গরু বেশি এনেছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঝারি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু দেখতে মানুষ আসে, কিনছে কম।

হাট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাঝারি আকৃতির গরুর কেনাবেচা তুলনামূলকভাবে দ্রুত হচ্ছে। হাটে গড়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ মাঝারি আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে, যা বড় গরুর বিক্রয়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

দুপুরে সরেজমিনে হাটে গিয়ে আরও দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্রেতাই বিক্রেতাদের সঙ্গে দামাদামি করছেন। কোনো কোনো বিক্রেতা মনের মতো দাম না পেলে গরু ছাড়ছেন না। অনেক ক্রেতাও শেষ মুহূর্তে দাম কমতে পারে সেই আশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন। যদিও আজ সকাল থেকেই গরু বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছে হাট কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে তেজগাঁও হাটের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি বলেন, প্রথম দিকে গরু-ছাগল বিক্রির পরিমাণ কম হলেও বর্তমানে পশু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। দামও আগের তুলনায় কমেছে। মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বরাবরই বেশি। আমরা ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায় করছি। গরু বিক্রি বেড়েছে।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় এবার ১৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বসেছে ১০টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বসেছে ৯টি অস্থায়ী হাট। ঈদুল আজহার দিনসহ মোট ৫ দিন নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।

অস্থায়ী ১৯টি হাট ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় স্থায়ী গাবতলী হাট এবং দক্ষিণ সিটির আওতায় স্থায়ী সারুলিয়া হাটেও কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এ হিসেবে এ বছর ঈদুল আজহায় রাজধানী ঢাকায় কোরবানির পশু কেনা-বেচার জন্য মোট ২১টি স্থানে হাট বসেছে। এছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাজধানীর আফতাবনগর ও মেরাদিয়ায় এবার পশুর হাট বসবে না।

বাংলাফ্লো/এনআর

Leave a Comment

Comments 0