বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: নির্ধারিত সময়ে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন না হওয়ার কারণ জানিয়ে দিল জাতীয় পার্টি। সম্মেলনের জন্য বরাদ্দ পাওয়া বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ হল বরাদ্দ বাতিল করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
সোমবার (১৬ জুন)পার্টির দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আগে থেকে হল বরাদ্দ দেওয়া হলেও একই তারিখে প্রধান উপদেষ্টার বাজেট সক্রান্ত সেমিনারের কারনে জাতীয় পার্টিকে বরাদ্দ দেয়া হল বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করার পর জাতীয় পার্টি সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
২৮ জুন ২০২৫ বেলা ১১টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো। সে জন্য জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে হল বরাদ্দের জন্য বুকিং দেয়া হয়েছিলো।
হল বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনের নতুন তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। বিষয়টি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিলঅনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় ইসির কাছে দু’মাস সময় চেয়ে নিয়েছিল জাপা। এরপর আবার চিঠি দিয়ে সময় বাড়িয়ে নেয়।
সামরিক শাসনের মধ্যদিয়ে ক্ষমতাসীন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গন কবলিত। এরশাদের জীবদ্দশায় জাপা, জেপি, বিজেপি ও জাপা (জাফর) নামে চার টুকরো হয়ে যায়। এরশাদের মৃত্যুর পর সহধর্মিণী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে আরেকটি জাপার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও রওশন গ্রুপের তেমন কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। মাঝে মধ্যে বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ওই গ্রুপটির কার্যক্রম।
জাপার গ্রুপগুলোর মধ্যে জেপি (মঞ্জু) আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক ছিল। বিজেপি এবং জাপা (জাফর) রয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রচন্ড চাপের মধ্যে রয়েছে দলটি। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও চেয়ারম্যানের কার্যালয় একাধিক দফায় হামলার শিকার হয়েছে।
একাধিক কর্মসূচি পন্ড হয়েছে বৈষম্য বিরোধীদের বাঁধায়। যদিও পার্টির চেয়ারম্যান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় সংসদ এবং সংসদের বাইরে সোচ্চার ছিলেন আন্দোলনের পক্ষে।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0