বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: বাংলাদেশ সচিবালয় ও সংলগ্ন এলাকায় গণজমায়েত, মিছিল, সভা-সমাবেশ ও শোভাযাত্রার ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গতকাল সোমবার (২৬ মে) ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১০ মে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কর্তৃক জারিকৃত গণবিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পাশ্ববর্তী এলাকায় যেকোন প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে উক্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।’
এদিকে, আজ ২৭ মে, মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, অনিবার্য কারণবশত আগামী ২৭ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সকল ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এমতাবস্থায়, উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গত ২২ মে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। গত রোববার অধ্যাদেশটি গেজেট প্রকাশ হয়।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ৪টি ধারা বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার ‘সচিবালয়ের সংস্কারবিরোধী আমলাদের অপসারণ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের’ দাবিতে গণসমাবেশ ডেকেছে জুলাই বিপ্লবী ছাত্র–জনতা নামের একটি সংগঠন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে প্রবেশের ফটকের উল্টোপাশে এ কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকজন নেতা এরই মধ্যে সরকারি কর্মচারিদের এ আন্দোলনের বিরোধীতা করেছেন। দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আব্দুল্লাহ। সোমবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন ‘ ‘জনদুর্ভোগ ও ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত করার ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে পরিচিত সচিবালয়ের ক্যু সম্পর্কে সচেতন থাকুন। পাঁচ অগাস্ট পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণ করে, হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে অফিস করা সচিবালয়ের কর্মকর্তারা তাদের ক্যু অব্যাহত রাখলে তাদের পরিণতি পতিত হাসিনার মতো হবে।’
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ৪টি ধারা বাতিলের দাবি মঙ্গলবারের মধ্যে পূরণ না হলে সারাদেশে কর্মবিরতির ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা দ্রুত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0