বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলীয় প্রতীক হিসেবে তারা চেয়েছে ‘শাপলা ফুল’। একই প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আগের প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করেছে আরেক রাজনৈতিক দল নাগরিক ঐক্যও।
প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশটি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে কি না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের প্রতীক কীভাবে রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
দলীয় প্রতীক শাপলা ফুল রেখে রোববার (২২ জুন) নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের আবেদন করে এনসিপি। অন্যদিকে গত ১৭ জুন ইসিতে নিজেদের প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করে নাগরিক ঐক্য। তারাও নিজেদের প্রতীক হিসেবে চেয়েছে শাপলা। তবে এ প্রতীক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে এনসিপির আবেদনের পর।
কেন শাপলা চায় এনসিপি
রোববার নিবন্ধনের আবেদনের সঙ্গে দলের জন্য তিনটি প্রতীকের উল্লেখ করেছে এনসিপি- শাপলা, কলম ও মোবাইল। তবে এর মধ্যে শাপলাকেই তারা প্রতীক হিসেবে চায়।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণের মার্কা হিসেবে, গণঅভ্যুত্থানের মার্কা হিসেবে, গ্রাম বাংলার প্রতীক হিসেবে আমাদের প্রথম পছন্দ শাপলা। আশা করছি এনসিপি শাপলা প্রতীকই পাবে। শাপলা মার্কা নিয়েই আমরা নির্বাচনে অংশ নেব।
নাহিদ আরও বলেন, আমরা শাপলাকে মার্কা হিসেবে নিয়েছি। নদীমাতৃক বাংলাদেশের সবার কাছে পরিচিত শাপলা। সাধারণের দল হিসেবে আমরা শাপলাকে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে আবেদন করেছি।
আগেই শাপলা চেয়েছে নাগরিক ঐক্য
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার এক যুগ পর গত বছর আদালতের আদেশে ইসির নিবন্ধন পেয়েছে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য। তারা প্রতীক পেয়েছে কেটলি। তবে গত ১৭ জুন তারা এই প্রতীক বদলে শাপলা ফুল প্রতীক হিসেবে চেয়ে আবেদন করেছে ইসিতে। বিকল্প হিসেবে রেখেছে দোয়েল পাখি। দলটির দাবি, শাপলা জাতীয় প্রতীক বিবেচনায় এটি তাদের বরাদ্দ দেয়নি ইসি।
ওই আবেদন জমা দেওয়ার পর নারী ঐক্যের সদস্য সচিব ফেরদৌসী আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, নাগরিক ঐক্য দলীয় পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক পায়নি। নির্বাচন কমিশন আমাদের ‘কেটলি’ প্রতীক দিয়েছে। আমরা দলীয় পছন্দ অনুযায়ী শাপলা বা দোয়েল পাখি প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছি।
নাগরিক ঐক্যও শাপলা প্রতীক বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আবহমান গ্রামবাংলা ও প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়েছে। গণমানুষের মধ্যে এর পরিচিতি ও ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাই এ প্রতীক বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে তাদের।
শাপলা ঘিরে কী বিতর্ক
এনসিপির ইসিতে আবেদনের পরপরই গণমাধ্যমগুলোতে খবর এসেছে। এনসিপির নেতারাও নিজেদের ফেসবুক পেজে শাপলাকে দলীয় প্রতীক হিসেবে পোস্ট দেন। এ সময় ফেসবুকে এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের মতামত উঠে আসতে থাকে।
শাপলা প্রতীককে যারা রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে দেখতে চাইছেন না, তাদের প্রধান যুক্তিই হলো— এটি জাতীয় প্রতীকের প্রধান অংশ হওয়ায় তা দলীয় প্রতীক হওয়া উচিত না। বিশেষ করে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারীদের এ প্রতীকের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে।
বর্ষীয়ান সাংবাদিক সাবির মুস্তাফা লিখেছেন, শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতীকও শাপলা। নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি এই শাপলা ফুলকে তাদের নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। ইসি যদি এই আবেদন গ্রহণ করে, তাহলে যুক্তিসঙ্গত কারণেই অভিযোগ উঠবে, এনসিপিকে অন্যায়ভাবে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কারণ মানুষ শাপলা প্রতীককে ক্ষমতা আর প্রভাবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে। শাপলা প্রতীকের জন্য এনসিপির আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান বলে দেবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড কত শক্ত (বা আদৌ আছে কি না!)
রাজনীতিবিদ নাসিম হাসান লিখেছেন, নাগরিক ঐক্য একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, যার প্রতীক কেটলি। কয়েকদিন আগে নাগরিক ঐক্যর একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করে শাপলা চেয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয় শাপলা জাতীয় প্রতীক। এটা কোনো রাজনৈতিক দলকে প্রতীক হিসেবে দেওয়া যাবে না। অথচ একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল তাদের প্রতীক হিসেবে শাপলা চাচ্ছে। তারা ঘোষণা দিচ্ছে যে এটাই তাদের প্রতীক হিসেবে সিলেক্টেড। এভাবে চলতে থাকলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
ব্লগার-অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক লিখেছেন, শাপলা জাতীয় ফুল। এটিকে নির্বাচনি প্রতীক তালিকায় রাখাই ঠিক নয়। সারাদেশে শাপলা জামানত হারিয়ে বসে আছে, বিষয়টি শুনতে ভালো?
সাংবাদিক আহরার হোসেন লিখেছেন, শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক। এটাকে কি একটা দলকে নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দিতে পারে নির্বাচন কমিশন? জাতীয় ও নির্বাচনলনি প্রতীক বিষয়ক বিধিমালায় কী আছে? কিউরিয়াস!
নরসিংদী জেলা ছাত্রদল নেতা আশিক সুজন মামুন লিখেছেন, শাপলা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের প্রতীক! এটা কোনো রাজনৈতিক দলের মার্কা হতে পারে না, বা দেওয়া উচিত নয়। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বিবেচনা কামনা করি।
শাপলা প্রতীকের পক্ষে যারা
এনসিপির নেতাকর্মীরা এ দিন ফেসবুকে শাপলা প্রতীকের পক্ষে পোস্ট দিয়েছেন। শাপলাকে বাংলার ঐক্যের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করে এর মাধ্যমে জুলাইয়ের ঐক্যের মিল টেনেছেন। আরেকটি বড় অংশ আবার শাপলা প্রতীককে মিলিয়েছেন ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিলে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে নির্যাতনের বিষয়টিকে।
শাপলা প্রতীকের ছবি ফেসবুকে দিয়ে শুধু শাপলা লিখে পোস্ট করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতাই। অনেকেই লিখেছেন, তারুণ্যের প্রথম ভোট শাপলায় হোক। লিখেছেন, জনগণের মার্কা শাপলা মার্কা।
আকরামুল হক আবির লিখেছেন, পারফেক্ট মার্কা। শাপলা শব্দটা মাথায় আসলেই মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ইমেজ সবার আগে মাথায় আসে। এই শাপলা চত্বরেই শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে ২০১৩ সালের ৫ই মে গণহত্যা হয়েছিল। এনসিপির শাপলা মার্কা ওই গণহত্যার শহিদদের প্রতি একটা ট্রিবিউট। শাহবাগীদের অন্তরে আজ খুব ব্যথা। জ্বালা জ্বালা। অন্তর জ্বালা।
সাইফ আহমেদ হাসনাইন লিখেছেন, যে শাপলাতে হাসিনা বাংলাদেশকে হত্যা করেছিল, সেই শাপলা থেকেই শুরু হোক নতুন বাংলাদেশের। ইনশাআল্লাহ।
তারেক রেজা নামে আরেকজন লিখেছেন, শাপলা শুনলেই আমার মাথায় সবার আগে ২০১৩’র ৫ মে আসে। শাপলা আমাদের প্রতীক হিসেবে পেলে সবচাইতে বেশি খুশি হব।
ফাইয়াজ ইফতি লিখেছেন, শাপলা, শুধু একটি ফুল নয়, এটি একটি হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী। শাপলা চত্বরের গণহত্যার বিচারের দাবি দিয়েই যাত্রা শুরু হোক এনসিপির, শুভ কামনা!
কী আছে জাতীয় প্রতীকে
শাপলা ফুলকে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক বলে অনেকে অভিহিত করলেও এই ফুল এককভাবে জাতীয় প্রতীক নয়। জাতীয় প্রতীক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে রয়েছে—
পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা এবং এর উভয় পাশে একটি করে ধানের শীষ, চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পাশে দুটি করে তারকা।
অর্থাৎ, শাপলা ফুলের পাশাপাশি ধানের শীষ, পাট পাতা ও তারকা চিহ্নও জাতীয় প্রতীকের অংশ। তবে সাধারণভাবে পুরো প্রতীকে শাপলা ফুলটিই প্রকটভাবে দৃশ্যমান।
দলীয় মার্কা ও জাতীয় প্রতীক
জাতীয় প্রতীকে শাপলা থাকায় তা এনসিপির প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের বিপক্ষে অভিমত আসায় বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ কেননা এই ধানের শীষও রয়েছে জাতীয় প্রতীকে। অবশ্য অনেকেই একে খণ্ডন করতে বলছেন, জাতীয় প্রতীকে শাপলার দুই পাশে একটি করে ধানের শীষ থাকলেও বিএনপি প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে এক গুচ্ছ ধানের শীষ।
এদিকে ইসিতে নিবন্ধিত অধ্যাপক ডা. এম এ মুকিতের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতীক কাঁঠাল, যা বাংলাদেশের জাতীয় ফল। এ ছাড়া প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের প্রতীক বাঘ, যা দেশের জাতীয় পশু। এ দলটি অবশ্য এখন আর ইসিতে নিবন্ধিত নয়।
বিএনপি ও এ দুটি দলের উদাহরণ টেনে অনেকেই রাজনৈতিক দলকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
ইসির তালিকায় নেই শাপলা
এদিকে নাগরিক ঐক্য ও এনসিপি শাপলা প্রতীকের জন্য আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের জন্য যেসব প্রতীক নির্ধারণ করেছে সে তালিকায় শাপলা নেই। কমিশন মূলত ২০০৮ সালের সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীকের তালিকা থেকে এই বরাদ্দ দিয়ে থাকে।
২০১৭ সালের এই সংশোধনীতে রয়েছে ৬৪টি প্রতীক। এগুলো হলো— আপেল, আম, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কবুতর, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাস্তে, কুমির, কুলা, কুড়াল, কুঁড়েঘর, কোদাল, খাট, খেজুর গাছ, গরুর গাড়ি, গাভী, গামছা, গোলাপফুল, ঘণ্টা, চাকা, চাবি, চেয়ার, ছড়ি, ছাতা, ট্রাক, টেলিভিশন, ডাব, তবলা, তারা, তরমুজ, দাবাবোর্ড, দালান, দেওয়াল ঘড়ি, ধানের শীষ, নোঙ্গর, নৌকা, ফুলকপি, ফুলের মালা, বাঘ, বটগাছ, বাই-সাইকেল, বাঁশি, বেঞ্চ, বেলুন, মই, মটরগাড়ি (কার), মশাল, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, রকেট, রিক্সা, লাঙল, শঙ্খ, সিংহ, স্যুটকেস, হাত (পাঞ্জা), হাত ঘড়ি, হাত পাখা, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা।
২০২১ সালের মার্চে এই বিধিমালা ফের সংশোধন করা হয়। সেখানে ৬৪টি প্রতীকের তালিকা থেকে চাবি, বাঘ ও হুক্কা বাদ দেওয়া হয়। ফলে ইসির নির্ধারিত প্রতীকের সংখ্যা এখন ৬১টি, যার মধ্যে শাপলা নেই।
যা বলছে ইসি
এনসিপির নিবন্ধনের আবেদনের পর শাপলা প্রতীক নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো অবস্থান জানায়নি ইসি। তবে শাপলা জাতীয় প্রতীক বিবেচনাতেই নাগরিক ঐক্যকে তা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে ইসির অবস্থানের কথা দলটি জানিয়েছে।
ওই দিন নাগরিক ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক মহিদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে আবেদন জমা দিয়েছি। শাপলা ও দোয়েল জাতীয় প্রতীক হওয়ায় এই দুটি প্রতীক দলকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না বলেছেন। নতুন প্রতীক বিধিমালায় যুক্ত হওয়ার পর অন্য কোনো প্রতীক চেয়ে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সেদিন নাগরিক ঐক্য প্রতীক পালটানোর আবেদন করার পর ইসি সচিবের একান্ত সচিব মোখলেছুর রহমানও একটি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এ দুটি তো জাতীয় প্রতীক। সচিব মহোদয় তাদের অন্য প্রতীক চেয়ে নতুন করে আবেদনের পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বা অন্য নির্বাচন কমিশনারদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। ইসি সচিব আখতার আহমেদের দপ্তরে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পরে অতিরিক্ত সচিবের দপ্তরে টেলিফোন করলে কথা হয় সহকারী সচিব মো. ইকবাল হোসেনের সঙ্গে। এনসিপির শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন প্রসঙ্গে ইসির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা মাত্র আবেদন করেছে। আরও অনেক আবেদন জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। যথাসময়ে ইসি এ বিষয়ে জানাবে।
এনসিপিকে বরাদ্দ দিলে আইনি প্রক্রিয়ায় হাঁটবে নাগরিক ঐক্য
এনসিপির আগেই শাপলা প্রতীকের জন্য আবেদন করে রাখা নাগরিক ঐক্য মনে করছে, তাদের যে কারণে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি, একই কারণে এনসিপিকেও এ প্রতীক বরাদ্দ দেবে না ইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা আমরা শাপলা প্রতীকের জন্য আবেদন করেছিলাম। নির্বাচন কমিশন তো আমাদের জানিয়েছে, এটা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় কোনো দলকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। ফলে নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো দলকেও এই প্রতিটি বরাদ্দ দিতে পারে না।
নির্বাচন কমিশন এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দিলে নাগরিক ঐক্যেআেইনি পদক্ষেপ নেবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মান্না বলেন, আমরা এখনই অতদূর ভাবছি না। তারা তো আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছে। ফলে আমরা মনে করছি তারা বরাদ্দ দেবে না। যদি দিয়েই দেয়, অবশ্যই আমরা দাবি তুলব। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হলে নেব।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0