স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। অনেক ক্রীড়াবিদ, সংগঠক ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই পুরস্কার পান না। আবার উঠতি/বর্তমান খেলোয়াড়দেরও পুরস্কারের ব্যবস্থার জন্য আশির দশকে এনএসসি অ্যাওয়ার্ড শুরু হয়েছিল। নব্বইয়ের দশকে সেটা স্থগিত হওয়ার পর আবার গত বছর তিনেক আগে চালু হয়েছিল শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অ্যাওয়ার্ড নামে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) সম্প্রতি পুরস্কারের নাম বদলেছে। আশির দশকের মতো পুরস্কারের নাম বদলে করা হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। শেখ কামাল নামটি বাদ পড়েছে সর্বশেষ সংশোধনে। সংশোধনের নীতিমালাও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।
এই পুরস্কারের জন্য আবেদন আহবান করেছে এনএসসি। ৭ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব বরাবর পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। এনএসসি’র পরিচালক (ক্রীড়া) হুমায়ন কবীর এই সংক্রান্ত চিঠি সকল ফেডারেশন, ক্রীড়া সংস্থা ও ক্রীড়া সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেছেন। আবেদন পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই কমিটি তা পর্যালোচনা করবে। সেই কমিটির সুপারিশ পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করবে আরেকটি কমিটি।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে কোনো সুনির্দিষ্ট ক্যাটাগরি থাকে না। তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আটটি ক্যাটাগরি রয়েছে। আজীবন সম্মাননা, ক্রীড়াবিদ, উদীয়মান ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া এসোসিয়েশন/সংস্থা, ক্রীড়া সাংবাদিক, ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক/স্পন্সর ও ধারাভাষ্যকার এই সাত ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান বিগত বছর তিনেক পুরস্কৃত হয়েছেন। সাধারণত ৫ আগস্ট এই পুরস্কার প্রদান করা হতো।
২০২৪ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের তালিকা চূড়ান্ত ছিল। ৪ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সাংবাদিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছিল। তবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়নি ৫ আগস্ট। এবার জুলাই বিপ্লব স্মরণ ও সরকার পতনের দিন হিসেবে ৫ আগস্ট অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ রেখেই কাজ করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ৫ আগস্ট না হলেও আগস্টের মধ্যেই এই পুরস্কার প্রদান পর্ব সারতে চায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক সংস্থাটি।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0