বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায় গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণের পর ডিলেট করে দেয়ার আশ্বাস ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন, রায়হান মিয়া (২০) ও ও তার বন্ধু শাকিল আহমেদ মিম (২৫)। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার (২৮ জুন) এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার।
ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে। দামোদরপুর ইউনিয়নের মধ্যভাঙ্গা মোড় (জুগীপাড়া) গ্রামের নানাবাড়ি থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে ওই ছাত্রী।
ধর্ষক রায়হান মিয়া মধ্যভাঙ্গা মোড় (জুগীপাড়া) গ্রামের মিলন প্রামাণিকের ছেলে এবং শাকিল আহমেদ মিম কান্তনগরের সাজু মিয়ার ছেলে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গেল রমজান মাসের কোনো এক দিন ছাত্রীটি তার নানাবাড়িতে টিউবওয়েলে গোসল করার সময় রায়হান তার মোবাইল ফোনে গোপনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও মেয়েটিকে দেখায়। এ সময় এই ভিডিও মোবাইল ফোন থেকে ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করে মেয়েটি। একপর্যায়ে ডিলিট করার আশ্বাস দিয়ে গত ১৫ এপ্রিল রাতে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রায়হান রহমান। একই আশ্বাসে ১৯ এপ্রিল আবারও ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে জানালে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখায় এই যুবক। এরপর ওই অশ্লীল ভিডিও রায়হান রহমান তার বন্ধু শাকিল আহমেদ মিমকে সরবরাহ করে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ২৪ জুন বিকেলের দিকে শাকিল আহমেদ এই ভিডিও ডিলেট করার আশ্বাসে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এরপর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে কান্না করলে স্বজনরা কান্নার কারণ জানতে চাইলে - রায়হান ও শাকিলের সব ঘটনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার এ বিষয়ে বলেন, দুই যুবক মিলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২৭ জুন এই মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0