স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ১৯৯৯ সাল। তিন বছর পরেই শতাব্দীর প্রথম বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। এমন এক সময়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিলো দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। স্থানীয় প্রতিভাবান গোলরক্ষক তুলে আনার তাগিদে দেশটির লিগে নিষিদ্ধ করা হয় বিদেশি গোলরক্ষকদের। কে-লিগের ক্লাবগুলোর জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিদেশি গোলরক্ষক আনার রাস্তা।
এবার দীর্ঘ ২৬ বছর পর সেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। আসন্ন মৌসুম থেকেই কে-লিগের দলগুলো নিজেদের স্কোয়াডে চাইলে বিদেশি গোলরক্ষক নিতে পারবে।
কে-লিগের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, লিগের নীতিনির্ধারণী বোর্ড লক্ষ্য করেছে একটি নির্দিষ্ট পজিশনে এমন নিষেধাজ্ঞা লিগের বেতন কাঠামোতে বৈষম্য তৈরি করেছে। যে কারণে বেতন বৈষম্য দূর করতে কে-লিগের এমন সিদ্ধান্ত। গত বৃহস্পতিবার লিগের নীতিনির্ধারণী বোর্ডের এক বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এতে বলা হয়, কেবল একটিমাত্র পজিশনে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে, মাঠের অন্য যেকোনো অবস্থানের তুলনায় গোলকিপারদের বেতন বাড়তি হয়ে উঠেছে। এছাড়া নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত (২৬ বছর) কে-লিগে ক্লাবের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে বিদেশি গোলরক্ষকদের সুযোগ দেয়া হলেও তাতে স্থানীয় গোলরক্ষকদের জন্য জটিলতা তৈরি হবে না।’
দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ লিগ কে লিগ-১ এবং কে লিগ-২ দুই ক্ষেত্রেই নতুন করে বিদেশি গোলরক্ষক নেয়ার এই নিয়ম চালু হবে।
১৯৯৯ সালে নিষেধাজ্ঞার সময়ে কে-লিগে দল ছিল ৮টি। বর্তমানে সেখানে ক্লাব সংখ্যা ১২। এছাড়া, ২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ান ফুটবলে যুক্ত হয়েছে দ্বিতীয় বিভাগ। দেশটির জাতীয় দলের তিন গোলরক্ষক কিম সুয়েং-গিউ, কিম দং-হিওন এবং লি চ্যাং-গেয়ুন প্রত্যেকেই নিজের দেশের লিগেই খেলে থাকে।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0