বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: পুলিশের কাছে মারণাস্ত্র না রাখার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়, বলছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও অপরাধ বিশ্লেষকেরা। মারণাস্ত্র বহন না করলে পুলিশ আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত হবে, বলছেন তাঁরা। পুলিশের অস্ত্র বহন বন্ধ না করে চাইনিজ রাইফেল, এসএমজি ও নাইন এমএম পিস্তলের মতো মারণাস্ত্র ব্যবহারে সঠিক নীতিমালা করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
জুলাই অভ্যুত্থান দমাতে নির্বিচারে বিভিন্ন প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করায় ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে, আর্মড পুলিশ ছাড়া বাকি সদস্যদের মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১২ মে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও অপরাধ বিশ্লেষকেরা। পুলিশ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ব্যাহত হবে, বলছেন তাঁরা। এ ছাড়া বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে শুধু শটগান নিয়ে পুলিশ কতোখানি কার্যকর ভূমিকা রাখবে, সেই প্রশ্ন তাঁদের।
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল আজাদ চৌধুরী বলেন, পুলিশের অস্ত্র বহন সমস্যা নয়, সমস্যা সেটির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার। বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র না সরিয়ে, বরং কোন অস্ত্র কোন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালায় গুরুত্ব দিতে হবে।
পুলিশের হাতে কোন কোন ধরনের অস্ত্র রাখা যাবে, সেগুলো কীভাবে ব্যবহার হবে তা নির্ধারণে একটি কমিটি কাজ করছে। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশকে অনেকটাই নিরস্ত্র করার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়। এতে পুলিশের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়বে এবং বাহিনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0