জেলা প্রতিনিধি
ভোলা: তজুমদ্দিন উপজেলার আলোচিত চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে মারধরের পর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি মো. আলাউদ্দিন ও বহিষ্কৃত শ্রমিকদল নেতা মো. ফরিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মো. আলাউদ্দিন তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ইয়াছিনের ছেলে ও মো.ফরিদ চাঁদপুর ইউনিয়নের শশীগঞ্জ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেজামুল হকের ছেলে।
বুধবার (২ জুলাই) রাতে আলাউদ্দিনকে হাতিয়া থেকে ও ফরিদকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত খান। রোববার (২৯ জুন) দুপুরে তজুমদ্দিন উপজেলা শহরের চাঁদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাওলানাকান্দি এলাকায় ৩ নম্বর আসামি ঝর্ণা বেগমের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ঢাকায় হোটেল বাবুর্চির কাজ করেন। আসামি ঝর্ণা বেগম বাদীর তৃতীয় স্ত্রী এবং ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদীর প্রথম স্ত্রী। গত ২৮ তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ঝর্ণা বেগম বাদীকে ফুসলিয়ে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আসামিরা সেখানে হাজির হয়ে বাদীকে আটকে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাকে আটকে পাইপ দিয়ে মারধর করে। বিষয়টি বাদী তার প্রথম স্ত্রীকে জানালে (ধর্ষণের শিকার) তিনি ২৯ জুন ঘটনাস্থলে যায়। আসামিরা তাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় মো. আলাউদ্দিন ও তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ ওই নারীর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
আরও জানা গেছে, পরবর্তীতে ৩০ জুন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে তজুমদ্দিন ও মো. আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে মো.ফরিদ, ঝর্ণা বেগম, আলমগীর হোসেন, মানিক, মামুন, রাসেলসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া ঘটনার পরপরই মামলার ৩ নম্বর আসামি ঝর্ণা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ এবং ৫ নম্বর আসামি মো.মানিককে বুধবার বিকেলে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প।
বাংলাফ্লো/এসকে
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0