জেলা প্রতিনিধি
সিলেট: সমতলে তিন নদীর ৬ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপরে উঠে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারনে এই পানি প্রবাহিত হচ্ছে, এতে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এতথ্য জানিয়েছে। সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদীর পানি সমতল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টের পানি ১৮৪ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টের পানি ৪৬ সেন্টিমিটার, মারকুলি পয়েন্টের পানি এক সেন্টিমিটার, মনু নদীর মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টের পানি ২৭ এবং মৌলভিবাজার পয়েন্টের পানি ৬৭ মিলিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীগুলোর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এছাড়াও সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরী নদীগুলোর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার নদীগুলো সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীগুলোর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদী সতর্ক সীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সালু, মাতামুহুরী ইত্যাদি নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে ও দ্বিতীয় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী একদিন কমতে পারে। এই সময়ে মুহরী, ফেনী, হালদা সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র নদের ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীগুলোর পানি আগামী ৪ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী একদিন নদ-নদীগুলোর পানি কমতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে ও পদ্মা নদীর পানি কমছে। আগামী ৫ দিন গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে নদীগুলো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ১৬৫ মিলিমিটার। এছাড়া টেকনাফে ১৬০, বান্দরবানে ১৩৭, লামায় ১১০, যশোরে ৮৯, নেত্রকোণায় ৮৭, নওগায় ৮৪, চট্টগ্রামে ৭৭, রামগড়ে ৬৯, কুড়িগ্রামে ৬৮, কাউনিয়ায় ৬৭, কানাইঘাটে ৬৫, গাইবান্ধা ৬৩, বিবাড়িয়া ৬০, নকুয়াগাও ৬০, বগুড়া ৫৮, দেওয়ানগঞ্জ ৫৬, নরসিংদী ৫৫, সিরাজগঞ্জ ৫৫, পঞ্চগড়ে ৫৪, ফরিদপুরে ৬৩, বদরগঞ্জে ৫৩, রংপুরে ৫০ এবং রোহানপুরে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0