Logo

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হতে চায় উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অ্যাসোসিয়েশন: নাসরিন ফাতেমা আউয়াল

ওয়েবের সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, উনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) আমাদের কথা শুনছেন, আমরা আশাবাদী ওনারা আমাদের কথা রাখবেন, নারীর প্রতি বৈষম্য আমরা আর দেখতে চাই না।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওয়েবের সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল।

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)।

বুধবার (১৪ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের কাছে আবেদনপত্রটি জমা দেয় ওয়েবের নেত্রীরা।

আবেদনে বলা হয়, উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব) একটি নারী উদ্যোক্তা সংগঠন, যা ২০০০ সাল থেকে দেশের নারী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আসন্ন জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পর্যবেক্ষণের অভিপ্রায়ে ওয়েব নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণে আগ্রহী। সংগঠনটির অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত পর্যবেক্ষক দল নির্বাচন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

সিইসির কাছে আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওয়েব) সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, সহসভাপতি মেহেরুন্নেসা খান, সদস্য নাজমা বিন্দু ও নাসরিনা বারী।

ওয়েবের সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, উনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) আমাদের কথা শুনছেন, আমরা আশাবাদী ওনারা আমাদের কথা রাখবেন, নারীর প্রতি বৈষম্য আমরা আর দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, আমরা নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। উনার সঙ্গে বেশ কয়েকটা বিষয়ে কথা হয় যার মাঝে অন্যতম সব কিছুতে নারীর অংশগ্রহণ।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে ভোটার অবজারভার হিসেবে রাখা যায় কী না প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন ।

কর্মক্ষেত্রে নারীদের সম্পৃক্ত করলে সেখানে নিশ্চয় আউটপুট আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবারও নারীদের উপর বৈষম্য শুরু হয়েছে। নারীদেরকে ঠেলে আবার ঘরের ভিতরে ঢুকাতে চাচ্ছে। সেই জিনিসটা যেন নির্বাচন কমিশনার দেখেন এটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।

নাসরিন ফাতেমা আরও বলেন, অনেক বছর আমরা ভোট দিতে পারিনি। নির্বাচনে নারীদেরকে সেভাবে সম্পৃক্ত করা হয়না। যার দরকার যতজনকে সে ততজনকে নিয়ে এসে চেষ্টা করে ভোট দিতে। বিগত দিনে নারী-পুরুষ কেউই ভোট দিতে পারেনি। তো আমরা মনে করি যে এবার নির্বাচনটা স্বচ্ছ হবে, এমনভাবে হবে যেন আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নারী-পুরুষ একসাথে ভোট দিতে পারি সেই জিনিসটা আমরা বলেছি।

আমরা চাচ্ছি নারীরা যেন ভোট কেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে- যোগ করেন নাসরিন ফাতেমা।

তিনি বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্যের মানসিকতা থেকে সরে আসা উচিত। নারী ছাড়া আপনারা কি করে এই দেশ গড়বেন? সেখানে এই সেক্টরটাকে বাদ দিয়ে কি দেশ গড়া যায়? এই ব্যাপারটি যেন গুরুত্বের সঙ্গে দেখে সেই ব্যাপারেও কথা বলেছি।

তিনি বলেন, নারীকে নিয়ে যে বৈষম্য, নারীর ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে এই জিনিসটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নারীরা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চায়। আমরা খুব সামনেও যেতে চায়না,আবার পিছনেও পড়ে থাকতে চায়না। উনি ( ইসি প্রধান) আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। আমরা আশাকরি উনারা আমাদের কথা রাখবেন। 

নাসরিন ফাতেমা আউয়াল বলেন, পুরুষদের মানসিকতা যদি পরিবর্তন না হয়,তাহলে এই বৈষম্য দূর হবেনা। যে দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের অধিক নারী সেখানে বৈষম্যের মানসিকতা থেকে সরে আসা দরকার।

তিনি আরও বলেন যেখানে মা ,কন্যা,সহধর্মীণি বোন নারী সেখানে কেন আপনাদের পুরুষদের মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে না? সমাজের সকলের মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া উচিত। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

বাংলাফ্লো/এসএস

Leave a Comment

Comments 0