Logo

জামিন পেলেন জুবাইদা রহমান; জরিমানা স্থগিত

আয়ের বাইরে সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।

ছবি সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: আয়ের বাইরে সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।

বুধবার (১৪মে) এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি মো.খসরুজ্জামানের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনার দরখাস্ত হাই কোর্ট মঞ্জুরের পর তিন বছরের সাজা বাতিল চেয়ে আপিল করে জুবাইদা রহমান।

বুধবার আদেশের পর জুবাইদা রহমানের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে মামলার নথি তলব করে ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে।

আরেক কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেন, “আমরা মনে করি এই মামলাটি ছিল দুরভিসন্ধিমূলক। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই সাজা দিতে মামলাটি করা হয়েছিল। আশা করি পূর্ণাঙ্গ আপিল শুনানিতে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানকে খালাস করাতে আমরা সক্ষম হব।”

২০০৮ সালে কারামুক্তির পর তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার লন্ডনে যান। স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জায়মা রহমানও তার সঙ্গে গিয়েছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের সময়ে তাদের আর দেশে ফেরা হয়নি।

গতবছর ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেক রহমান এবং তার মা খালেদা জিয়াকে কয়েকটি মামলা থেকে রেহাই দেয় আদালত।গত বছরের ২ অক্টোবর এ মামলায় জুবাইদা রহমানের দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সাজা স্থগিতের আবেদনে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে দণ্ডাদেশ স্থগিতের ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৭ বছর পর গত ৬ মে শাশুড়ির সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা। পরে তার আইনজীবীরা হাই কোর্টে আপিলের আবেদন করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক।

মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।

পরে একই বছর তারেক ও জুবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ২ অগাস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে তাদের জরিমানাও করা হয়।

বাংলাফ্লো/এসকে

Leave a Comment

Comments 0