নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ১৪টি নির্দেশনা জারি করেছে। উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে ঈদ উদযাপনের জন্য নগরবাসীকে এসব নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বুধবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, পুলিশকে সহায়তা দিতে ইতোমধ্যে অক্সিলারি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়ানো গেলে অপরাধ দমনে আরও সফলতা আসবে।
ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নগরবাসীকে যেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে, সেগুলো হলো:
১. বাসাবাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বিমা ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে কিছু কর্মীকে দায়িত্বে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২. বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। দরজা-জানালা দুর্বল থাকলে তা মেরামত করে সুরক্ষিত করতে হবে।
৩. বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং সেগুলো সচল রাখতে হবে।
৪. বাসাবাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকট আত্মীয়ের হেফাজতে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক লকার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. বাসাবাড়ি ত্যাগের আগে প্রতিবেশী বা পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসীদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করতে হবে এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।
৮. ভাড়াটিয়াদের আগেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি জানাতে হবে।
৯. অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বাসা বা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করতে হবে।
১০. বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের আগে লাইট, ফ্যান, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
১১. বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে।
১২. বাসার জানালা-দরজার পাশে গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে, যাতে অপরাধীরা গাছ ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।
১৩. মহল্লা বা বাড়ির সামনে সন্দেহজনক ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে জানাতে হবে।
১৪. ঈদে মহল্লা বা বাসায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে জানাতে হবে।
জরুরি প্রয়োজনে পুলিশি সহায়তার জন্য ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৯৮, ০২৯৬১৯৯৯৯ এবং জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।