Logo

মারামারির পর পঙ্গু হাসপাতালে জরুরি সেবা বন্ধ, রোগীদের ভোগান্তি

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মারামারির পর থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের পরিবার

হাসপাতালে আগত রোগীদের দুর্ভোগ - সংগৃহিত ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মারামারির পর থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের পরিবার।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংঘাতের পর থেকে জরুরি বিভাগের সেবা বন্ধ থাকায় হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারগুলো খালি দেখা গেছে। অনেক রোগী টিকিট কাটলেও চিকিৎসা পাননি। দুর্ঘটনায় আহত হৃদয় নামের এক তরুণের সঙ্গে আসা মো. আব্বাস বলেন, “দুই ঘণ্টা ধরে রোগীকে ফেলে রাখা হয়েছে। ব্যথায় চিৎকার করছে, কিন্তু কেউ দেখছে না।”

নরসিংদী থেকে দুই বছরের শিশুকে নিয়ে আসা মো. ইয়াসিন বলেন, “আড়াই-তিন ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে আছি, কিন্তু কোনো চিকিৎসা পাইনি। বাচ্চা কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ে আবার জেগে কাঁদছে। একজন ডাক্তার বা কর্মীও নেই।”

ঘটনার সূত্রপাত রোববার রাতে। হাসপাতালের এক কর্মী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মচারীদের দ্বন্দ্ব চলছিল। রোববার রাতে ব্লাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেন। তবে তাদের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন কর্মীরা।

অভ্যুত্থানে আহত মামুন বলেন, “পুরো হাসপাতাল দালাল সিন্ডিকেট চালায়। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় সকালে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালের প্রধান ফটকে পুলিশ এবং ভেতরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান জানান, তিনি একটি জরুরি মিটিংয়ে রয়েছেন এবং পরে বিস্তারিত জানাবেন।

এ ঘটনায় রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরুরি বিভাগে সেবা বন্ধ থাকায় অনেকেই চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।