Logo

নেত্রকোণায় হাওরের নদী থেকে তিন মাছ শিকারির লাশ উদ্ধার

নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার হাওরের একটি নদী থেকে তিনটি মাছ শিকারির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণা : নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার হাওরের একটি নদী থেকে তিনটি মাছ শিকারির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) বিকালে মাছ শিকার নিয়ে সংঘর্ষের পর থেকে নিখোঁজ হওয়া এই শিকারিদের মরদেহ সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের খালিয়াজুড়ি থানার ওসি মকবুল হোসেন জানিয়েছেন, মরদেহগুলো নেত্রকোণার নাওটানার কাছে আশালিয়া ঘাট ধনু নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় মিয়া (২৯), আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে শহীদ মিয়া (৫৫) এবং মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে রোকন মিয়া (৫২)।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার হাওরে মাছ শিকার নিয়ে বড় একটি সংঘর্ষ ঘটে। খালিয়াজুড়ি উপজেলার দুটি জলমহালের মাছ \লুটের চেষ্টা\ ছিল বলে অভিযোগ করেন ইজারাদাররা। বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক পরিবহনে করে হাজারো মানুষ ধনু নদীর পাড়ে এসে মাছ শিকার করতে যায়। এসময় শিকারীদের হাতে মাছ ধরার উপকরণ ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল বিক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং রসুলপুর ফেরি ঘাটে শিকারিদের শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, এ সংঘর্ষের পর থেকে কয়েকজন শিকারি নিখোঁজ ছিলেন, যার মধ্যে ওই তিনজনও ছিলেন। পুলিশ ধারণা করছে, সংঘর্ষের সময় তারা নদী সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পানিতে ডুবে মারা যান। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল সাহায্য করে।

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকাটিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।