বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: কমেডি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে মেরে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাবিবুল্লাহ বাহার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় সিদ্দিকের গায়ের পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। সিদ্দিককে মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পরে এই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায় সিদ্দিককে মারধর করে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় তারা আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
সিদ্দিককে যারা মারধর করে থানায় সোপর্দ করেছেন তারা কোনো দলীয় কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে লাইভ ভিডিওতে একজন ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম নামে একজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার পরিচয় উল্লেখ করা হয় হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে।
তিনি বলছিলেন, আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে আমরা পুলিশে হস্তান্তর করছি।
প্রসঙ্গত, সিদ্দিক অভিনয়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিকবার ঢাকার গুলশান ও টাঙ্গাইলের মধুপুর আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
জানা যায়, এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুর এলাকার নিজ বাড়ি দেলোয়ার টাওয়ারে অবস্থান করছিলেন অভিনেতা সিদ্দিক। ওই দিন সন্ধ্যায় এক বন্ধুসহ কথিত দুলাভাইয়ের বাড়িতে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। এ খবর পেয়ে তাকে আটকের জন্য বাড়ির সামনে অবস্থান নেন স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীসহ ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। এদিকে বাড়ির সামনে অনেক লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় বন্ধু ও তার দুলাভাই সিদ্দিককে দ্রুত পালানোর পরামর্শ দেয়। তাদের পরামর্শে সিদ্দিক কৌশলে পালিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টি টের পাওয়ার পর বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ শুরু করেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে তারা দেখতে পান স্থানীয় অধিবাসী এবং সিদ্দিকের কথিত দুলাভাই জামিল আহম্মেদ তাকে গাড়িতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা দলবল নিয়ে জামিল আহম্মেদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাসায় তখন জামিল আহম্মেদ ছিলেন না।
এদিকে বাসার সামনে হই-হুল্লোর দেখে তার ভাই আনোয়ার হোসেন কুডু বিষয়টি জানতে বাড়ির নিচে আসেন। জামিলের সাথে ভাই আনোয়ার হোসেন কুডুর চেহারার মিল থাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে জামিল আহম্মেদ ভেবে ব্যাপক মারপিট করে চলে যায়। পরে আহত অবস্থায় দ্রুত তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0