নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসে জাল টাকা, ছিনতাই, ডাকাতি, গাড়ি চুরি ও টানা পার্টির মতো অপরাধ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চলমান অভিযানের নাম ‘ডেভিল হান্ট’ রাখা হবে না বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে রমজান মাসে কিছু অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মহাসড়কে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি রোধ, ব্যাংকে বড় অঙ্কের টাকা জমা ও উত্তোলনের সময় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। এ ছাড়া বিপণিবিতান, ইফতারির বাজার ও জনসমাগম বেশি এমন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হবে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ ১১ হাজার ৮৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এই নাম নিয়ে সমালোচনা ও আলোচনার প্রেক্ষাপটে অভিযানের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোর কমিটির বৈঠকে অভিযান চলমান রাখার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে।
র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমজানে টানা পার্টি, ছিনতাই, গাড়ি চুরি ও জাল টাকার কারবারি চক্রের তৎপরতা বাড়ে। এ জন্য র্যাবের ২০০ টহল দল ও সাদাপোশাক বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। বিপণিবিতান, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে বিশেষ নজরদারি চলছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রমজানে জনসমাগম ও কেনাকাটা বৃদ্ধির সুযোগে অপরাধীদের তৎপরতা রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।