Logo

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ‘বিশেষ তালিকা’ তৈরি করছে পুলিশ

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার আসামিদের একটি ‘বিশেষ তালিকা’ তৈরি করছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বিশেষ শাখা (ডিএসবি) এই তালিকা প্রস্তুত করছে। তালিকায় মামলার বিবরণ, আসামিদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য সংযুক্ত করা হচ্ছে।

বিশেষ প্রতিনিধি: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার আসামিদের একটি ‘বিশেষ তালিকা’ তৈরি করছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বিশেষ শাখা (ডিএসবি) এই তালিকা প্রস্তুত করছে। তালিকায় মামলার বিবরণ, আসামিদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য সংযুক্ত করা হচ্ছে।

সূত্রমতে, এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে মূলত গুরুত্বপূর্ণ মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং জামিন প্রতিরোধের জন্য। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলার এসপি ও মহানগর কমিশনারদের সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও জামিনের বিরোধিতা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে প্রায় ২ হাজার ১০০ মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট আসামির সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার। বেশিরভাগ মামলায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও অনেক আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ২৫০ মামলার মধ্যে অন্তত ৭২১ জন আসামি জামিন পেয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, অনেক আসামি আত্মগোপনে চলে গেছেন বা দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়েছেন। এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া অনেকেই জামিনে বেরিয়ে আসছেন, যা সরকারের উচ্চমহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

ঢাকার আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ নেতাসহ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত প্রভাবশালীরাও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু প্রমুখ।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মুখপাত্র) ইনামুল হক সাগর বলেন, মামলার আসামিদের খোঁজখবর নেওয়া ও তালিকা তৈরি করা পুলিশের নিয়মিত কাজের অংশ। তবে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, কিছু ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের সঙ্গে সমঝোতা করে সাদামাটা প্রতিবেদন জমা দেন, যাতে জামিন পাওয়া সহজ হয়।

পুলিশের এই তালিকা তৈরির উদ্যোগকে আসামিদের গ্রেপ্তার ও জামিন প্রতিরোধের কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।