Logo

পুরনো মেলার মাঠে ঈদে নতুন আয়োজন করছে ডিএনসিসি

ঈদের জামাতকে ঘিরে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। মোবাইল ফোন, জায়নামাজ ও ওয়ালেট ছাড়া ভারী কোনও বস্তু সঙ্গে না আনার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রেখেছেন প্রশাসক। এখানে ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন ক্বারি গোলাম মোস্তফা। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহাম্মদ আল-আযহারী।

ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ

বাংলা ফ্লো প্রতিবেদক

ঢাকা: ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে, তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও (এনসিসি) একটি ঈদ জামাতের আয়োজন করেছে। তা হবে শেরেবাংলা নগরে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে।

এই মাঠে ঈদের জামাত আগে কখনও হয়নি। এবারই প্রথম ঈদ জামাতের সঙ্গে আরও নানা আয়োজন করেছে ডিএনসিসি। এই আয়োজনে থাকছে আনন্দ শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সোমবার (৩১ মার্চ) দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। সকাল সাড়ে ৮টায় এই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৩০ মার্চ) মাঠের প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সাংবাদিকদের বলেন, ঈদ জামাতে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি ওজুর ব্যবস্থা, পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই মাঠে একসাথে লক্ষাধিক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এবারের ঈদ জামাত ও ঈদ মিছিলে লাখো মানুষ সমাগমের প্রস্তুতি রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এই মাঠে ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।

ঈদের জামাতকে ঘিরে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। মোবাইল ফোন, জায়নামাজ ও ওয়ালেট ছাড়া ভারী কোনও বস্তু সঙ্গে না আনার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রেখেছেন প্রশাসক।

এখানে ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন ক্বারি গোলাম মোস্তফা। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহাম্মদ আল-আযহারী।

ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। প্যান্ডেলের বাইরেও নামাজ আদায়ের জন্য থাকবে কার্পেট। প্যান্ডেলের ভেতরে দক্ষিণ পাশে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।

ঈদ জামাত শেষে সকাল ৯টায় ঈদ আনন্দ মিছিল শুরু হবে। ঈদ মিছিলটি পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে।

এজাজ বলেন, “ঈদ মিছিলটি হবে বর্ণাঢ্য। মিছিলের সামনে শাহী ঘোড়া ও পেছনে ঘোড়ার গাড়ি থাকবে। ব্যান্ড পার্টি থাকবে, সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাস সম্বলিত চিত্রকলাও থাকবে। এর মাধ্যমে ঢাকার ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা হবে।

মিছিলটি ইতিহাসের একটি অংশ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই প্রথম এত বড় পরিসরে ঈদ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইতিহাসের একটি অংশ হবে। আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতিহাসের অংশ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আনন্দ মিছিলের অগ্রভাগে পাঁচটি সুসজ্জিত ঘোড়া রাখা হবে। মিছিলের সঙ্গে থাকবে ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি। পাশাপাশি মুঘল ও সুলতানি আমলের ইতিহাস সংবলিত ১০টি পাপেট শো রাখা হবে।

মানিক মিয়া এভিনিউতে ঈদ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। ঈদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। এছাড়াও ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাতাসা থাকবে আপ্যায়নে।

বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে এজাজ বলেন, মেলায় ২০০টির মতো স্টল থাকবে। নানা ধরনের পণ্য সামগ্রী, খাবার, চটপটির দোকান থাকবে। শিশুদের আনন্দের জন্য নাগরদোলা ও খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

দুই দিনই মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা থাকবে। খেলাধুলার জন্য রাখা হবে বিভিন্ন খেলার সামগ্রী।

বাংলাফ্লো/এসবি

Leave a Comment

Comments 0