Logo

সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা বন্ধ: রোগীরা বিপাকে

২০২৩ সালে দুই দফায় ১৮৩টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক সেবা চালু করা হয়েছিল। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ হাসপাতালে তা বন্ধ হয়ে গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় দুই বছর আগে চালু হওয়া সরকারি হাসপাতালের বৈকালিক চিকিৎসাসেবা ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ সেবা বন্ধের ফলে রোগীরা চিকিৎসা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসক সংকট এবং জনসচেতনতার অভাবের কারণে সেবাটি বন্ধ হয়ে গেছে।

২০২৩ সালে দুই দফায় ১৮৩টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক সেবা চালু করা হয়েছিল। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ হাসপাতালে তা বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই বিপ্লবের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসকদের ঢাকায় আনার কারণে চিকিৎসক সংকট দেখা দেয়, যা সেবা বন্ধের অন্যতম কারণ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৈকালিক সেবা চালু হওয়ার পর থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত ২ লাখ ৩০ হাজার ২৫২ জন রোগী এ সেবা নিয়েছেন। এ সময়ে ১২ লাখের বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ৭ হাজার ৯৪৩টি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের ভাতা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে সেবা দেওয়ার আগ্রহ কমে গেছে বলে জানা গেছে।

বর্তমানে ঢাকার কয়েকটি বড় হাসপাতাল, যেমন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে বৈকালিক সেবা বন্ধ রয়েছে। শুধু নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে এ সেবা চলমান আছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন করে বৈকালিক সেবা চালু করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সারাদেশে রেফারেল পদ্ধতির মাধ্যমে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।