চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বন্দরে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ২৪টি গাড়িসহ মোট ৪৪টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছিল। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দরপত্র খোলার পর দেখা যায়, সাবেক এমপিদের গাড়িগুলোর দাম উঠেছে মাত্র ১ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। ১০টি গাড়িতে কোনো দরপত্রই জমা পড়েনি।
নিলামে ৪৪টি গাড়ির জন্য ১৩৭টি দরপত্র জমা পড়েছে। তবে সাবেক এমপিদের ২৪টি গাড়ির মধ্যে মাত্র ১৪টিতে দরপত্র জমা হয়েছে। গাড়িগুলোর সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা। নিয়মানুযায়ী, প্রথম নিলামে নির্ধারিত মূল্যের ৬০ শতাংশ (৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা) বা তার বেশি দর উঠলে বিক্রির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কোনো গাড়িতেই এত দর উঠেনি, ফলে সাবেক এমপিদের গাড়ি বিক্রি হবে না।
গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে জাপানের তৈরি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, হ্যারিয়ার, র্যাব ফোর এবং চীনের সিনো ডাম্পট্রাক। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সাবেক এমপিরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়িগুলো আমদানি করেছিলেন। তবে সরকারের পটপরিবর্তন ও শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিলের পর গাড়িগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন জানান, দরপত্র যাচাই-বাছাই করে নিলাম কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। সর্বোচ্চ দর উঠেছে নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি মো. সাদ্দাম হোসাইন পাভেল ও খুলনা-৩ আসনের এস এম কামাল হোসাইনের গাড়িতে। এস এম আরিফ নামে এক ব্যক্তি দুই গাড়ির জন্য ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা করে দর দিয়েছেন।
এদিকে যশোর-২ আসনের সাবেক এমপি মো. তৌহিদুজ্জামানের গাড়িতে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা দর উঠেছে। নিলামের এ ফলাফলে গাড়িগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।