Logo

আওয়ামী লীগের আরো সাবেক ২ এমপি গ্রেপ্তার

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফাইল ছবি

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

সোমবার (২৩ জুন) মধ্যরাতে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ষোল্লা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ ঢাকা মহানগর আদালতে ওঠানোর হবে।

তুহিনকে গ্রেপ্তারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে, তাতে দেখা যায় ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গেলে স্থানীয় এলাকার নারী পুরুষের বাধার মুখে পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাবিনা আক্তার তুহিনকে সাধারণ মানুষ ঘিরে রাখে এবং তিনি নির্দোষ দাবী করে গ্রেপ্তার না করার অনুরোধ করা হয়। এবং সাবিনা আক্তার তুহিনকে দেখা যায় তার সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে বাঁধা না দেওয়ার অনুরোধ করেন।

তুহিনকে বলতে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাকে নিয়ে যাক কেউ বাধা দিয়েন না। আমি জেলে গেলে নিরাপদ এবং আমার সন্তানরাও নিরাপদ। কিন্তু তারপর তুহিনের সমর্থকরা বাধা দেয়। পুলিশ তাদেরকে বার বার সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তুহিনের সর্মথকরা তা মানতে নারাজ থাকে, এর এক পর্যায়ে তুহিনকে নিয়ে তার সমর্থকরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্লোগান দেয়। এসময় তুহিন তার সমর্থকদের যেতে বলেন এবং পুলিশকে নিয়ে যেতে বলেন। তবে তিনি দাবী করেন একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কোন অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি।

সাবিনা আক্তার তুহিনের নামে কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি সাবেক ছাত্রনেতা এবং যুব মহিলা লীগের ও নেতৃত্ব দেন।

তুহিনের পরিবার বলেন, সোমবার মধ্যরাতে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর ডিবি পুলিশ। আজ তাকে কোর্টে ওঠানো হবে।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ডিবি ওয়ারী বিভাগের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে।’

এর আগে, রোববার (২২ জুন) জুলাই আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ ফয়সল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

রবিবার (২২ জুন) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর মনিপুরী পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া আ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসরুল ইসলাম বলেন, ফয়সালের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জে মামলা রয়েছে। ঢাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না দেখা হচ্ছে। তাকে মুন্সীগঞ্জের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের বড় ছেলে ফয়সাল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃনাল কান্তি দাসের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচনে জেতেন। এর আগে তিনি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার দুই বারের মেয়র ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পৌর মেয়রের পদ ছেড়েছিলেন ফয়সাল।

তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর গুলিতে ৩ জন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক আহত হন।

এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় পৃথক ৩টি হত্যা মামলা ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়। সব মামলায়ই ফয়সালকে হুকুমের আসামি করা হয়।

এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রিয়াজুল ফরাজী নিহতের ঘটনায় ফয়সালসহ ৫০০ জনের নামে হত্যা মামলা হয়। মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী রুমা বেগম।

বাংলাফ্লো/এনআর

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0