স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: জাতীয় স্টেডিয়াম বাংলাদেশ ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন যৌথভাবে ব্যবহার করে। ৩০-৩১ মে দুই দিন ৩৯ তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্স অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতার রানিং, হার্ডেলস ও জাম্পের ইভেন্টগুলো জাতীয় স্টেডিয়ামে হলেও থ্রো ইভেন্টগুলো হবে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে।
অ্যাথলেটিক্সে জ্যাভলিন, শটপুস, ডিসকাসের মতো থ্রো ইভেন্ট রয়েছে। এগুলো জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। ৪ জুন ভূটান ও ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ রয়েছে। বাফুফে এখনো মাঠ পরিচর্যা করছে। তাই বাফুফের পক্ষ থেকে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে মাঠ ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন,‘ফুটবলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে কয়েক দিনের মধ্যেই। এজন্য বাফুফের অনুরোধের প্রেক্ষিতে থ্রোয়ের ইভেন্টগুলো পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজন করব।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৫০ কোটি টাকা বেশি ব্যয়ে সংস্কার হয়েছে। অ্যাথলেটিক্সের নতুন ট্র্যাক তন্মেধ্যে অন্যতম। এই ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য,‘আমাদের সম্মিলিতভাবেই এই ট্র্যাক রক্ষা করতে হবে। ফুটবল বা অন্যরা যখন ব্যবহার করবে তখন ট্রাকের ওপর কার্পেট দিলে অনেকটা চাপ কমবে।’
জাতীয় জুনিয়র প্রতিযোগিতা অ-১৬ ও ১৮ দুই বয়স ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বরে বাহরাইনে এশিয়ান ইয়ুথ গেমস রয়েছে। সেই গেমসের জন্য এই প্রতিযোগিতা থেকে খেলোয়াড় বাছাই করতে চায় ফেডারেশন। প্রতিটি ইভেন্টে প্রথম-তৃতীয় স্থান অর্জনকারী আর্থিক পুরস্কার পাবেন। রেকর্ডধারী অ্যাথলেটকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করবে ফেডারেশন। জেলা, বিভাগ, শিক্ষাবোর্ড, বিকেএসপি এবং সংস্থা থেকে সব মিলিয়ে ৬০০ জন প্রতিযোগি এবারের আসরে অংশগ্রহণ করবে।
বাংলাফ্লো/এসও
Comments 0