স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: রবার্তো ব্যাজ্জিও ফুটবল খেলতেন মানুষকে আমোদিত করার জন্য। ১০, ১৫, ২০ বছর বয়সে, এমনকি অবসর নেওয়ার সময়ও তার ধ্যান-জ্ঞান ছিল একটাই-লোকে তার খেলা দেখে আনন্দ পাবে। লিওনেল মেসির মাঝে নিজের ছায়া দেখতে পান ইতালির এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
১৯৯৪ বিশ্বকাপে ইতালির যে জার্সি পরে খেলেছিলেন মাঝমাঠের সৃজনশীল খেলোয়াড় ব্যাজ্জিও, সেটি সম্প্রতি মেসিকে উপহার দিয়েছেন তিনি। এক কিংবদন্তির কাছ থেকে অমন মহার্ঘ্য পেয়ে আবেগাপ্লুত আরেক কিংবদন্তি।
ফেলে আসা দিন আজও স্মৃতিকাতর করে ব্যাজ্জিওকে। দ্য অ্যাথলেটিক-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ঝুঁটিবাঁধা এই লিজেন্ড নিজের মনের জানালা খুলে বসেন। সম্ভবত ইতালির সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবলার ব্যাজ্জিওকে একসময় পেলে ও ম্যারাডোনার সমতুল্য মনে করা হতো।
সে প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি বিনয়ের অবতার হয়ে যান, ‘আমি তা একদমই মনে করি না।’ মানে, দুঁদে হয়েও নিজেকে ম্যারাডোনা-পেলের সমকক্ষ ভাবতে কুণ্ঠিত তিনি, ‘জানি না কী বলব। পেলে-ম্যারাডোনার মাঝে আমি নিজেকে দেখতে পাই না। ওভাবে চিন্তাই করিনি। অগুনতি মানুষ এই গ্রহে যেমন প্রতিদিন হাঁটে, নিজেকে তাদেরই একজন বলে গণ্য করি। আমি ভাগ্যবান যে, ফুটবল খেলার সুযোগ পেয়েছি। যে খেলাটির সঙ্গে আমার সখ্য, ভালোবাসার সম্পর্ক, সেটি খেলতে পারাটাই মহাসুখ।’
ব্যাজ্জিওর উপলব্ধি, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল দর্শকদের আমোদিত করা। ওদের মনোরঞ্জনই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল আমার। স্বপ্নও বলতে পারেন। তবে পেলে-ম্যারাডোনার কাতারে আমাকে ফেলবেন না। আমি ওদের মতো খেলোয়াড় হতে পারিনি,’ ব্যাজ্জিওর এই উপলব্ধিই তার বিনয়। তার ফুটবল-প্রজ্ঞার চেয়েও বোধহয় এই বৈভব এক অমূল্য সুখ-সম্পদ।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0