স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: গ্রুপ পর্ব থেকেই ব্রাজিলের ক্লাবগুলো রীতিমতো ছড়ি ঘোরাচ্ছে ইউরোপের দলগুলোর ওপর। বোতাফোগো পিএসজিকে হারিয়েছিল, এরপর ফ্লামেঙ্গো হারিয়েছে চেলসিকে। এবার আরও এক লাতিন আমেরিকা-ইউরোপীয় দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসল ব্রাজিলের দল ফ্লুমিনেন্স। মাসখানেক আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলা ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়ে বসেছে দলটা। তাতে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইতালিয়ান দলটিকে। ম্যাচের শুরুতেই আরিয়াসের ক্রস ইন্টারের বাস্তোনির গায়ে লেগে গোলকিপার ইয়ান সমারের পায়ের ফাঁক দিয়ে কানোর হেডে গোল হয়। প্রথমার্ধে ইন্টার গোল শোধের চেষ্টা করেছে বটে, তবে অনেক আক্রমণ করেও লাভ হয়নি।
বরং প্রথমার্ধেই ম্যাচটা শেষ করে দিতে পারত ফ্লুমিনেন্স। ইগনাসিও গোল করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। দ্বিতীয়ার্ধে আরিয়াসের এক শট সমার কর্নারে পাঠান।
এরপর ইন্টার আক্রমণের ধার বাড়ায়। লাওতারো মার্টিনেজের শট প্রতিহত হয় পোস্টে। আরেকবার তার শট ফ্লুমিনেন্সের গোলকিপার ফাবিও ঠেকান। শেষ দিকে ফ্লুমিনেন্সের হারকিউলিস বল পেয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন এবং গোল করেন। তাতেই ২-০ গোলের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ফ্লুমিনেন্সের।
রিও ডি জেনেইরোর এই দল ২০২৩ সালের কোপা লিবার্তাদোরেস জেতায় ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। ফ্লুমিনেন্সের আগে পালমেইরাসও কোয়ার্টারে উঠেছে। ফলে দুইটি ব্রাজিলিয়ান দল শেষ আটে খেলবে।
৪০ বছর বয়সী থিয়াগো সিলভা এই ম্যাচে ফ্লুমিনেন্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম ওরা সহজ প্রতিপক্ষ হবে না। এক মাস আগেই ওরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু আমরা দারুণ খেলেছি।’ এই জয় আরও একটি উদাহরণ যে দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো ইউরোপের বড় দলের বিপক্ষে কী করতে পারে।
ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ফ্লুমিনেন্সের কলম্বিয়ান উইঙ্গার জন আরিয়াস। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সমর্থক, আমাদের ব্রাজিল, আমাদের দেশের জন্য, দক্ষিণ আমেরিকার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ জয়। আমরা শুধু ফ্লুমিনেন্সকে নয়, পুরো মহাদেশকে উপস্থাপন করছি। আমরা বিশ্বকাপে যা করছি, তাতে আমরা খুব খুশি।’
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0