স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও কোচ হলেও জয়া চাকমার ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ পরিচিতি দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী ফিফা রেফারি হিসেবে। রেফারিং তার নেশা হলেও কোচিং মূলত পেশা। তবে এবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচের চাকুরি থেকে সরে এসেছেন নিজ ইচ্ছেতেই।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রশিক্ষণ কর্ণেল মোঃ গোলাম মাবুদ হাসান বলেন, 'জয়া চাকমা আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল কোচ ছিলেন। ব্যক্তিগত কারণেই তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন কোচ পদ থেকে। তার অব্যাহতির আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হয়েছে মাস দু’তিনেক হয়েছে।'
গত বছরের শেষ দিকেই জয়া বিকেএসপি ছাড়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেন। অব্যাহতি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছু দিন সময় লেগেছে। বিষয়টি প্রথম দিকে গোপনীয় থাকলেও পরবর্তীতে ফুটবল ও ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে জ্ঞাত হয়েছেন। বিকেএসপির কোচিং ছাড়লেও ফুটবল ফেডারেশনে এ লাইসেন্স কোর্স করেছেন। এএফসি সি লাইসেন্স কোর্সে সহকারী এডুকেটরের ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতে ক্লাব কিংবা বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং এবং রেফারিং চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিকেএসপি ক্রীড়াঙ্গনের আতুড়ঘর। সেই আতুড়ঘরে কোচরাই জাতীয়-আন্তর্জাতিক তারকা তৈরি করেন। অথচ সেই কোচরা পদোন্নতি ও নানা বিষয়ে থাকেন উপেক্ষিত। এজন্য সাবেক দ্রুততম মানব আব্দুল্লাহ হেল কাফী বিকেএসপি ছেড়েছেন। আরো কয়েকজন কোচ বিকেএসপি ছেড়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচ হয়েছিলেন। তবে জয়া চাকমার বিকেএসপি ছাড়াটা অবশ্য একান্তই ব্যক্তিগত কারণে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক ও ক্যারিয়ারের কোনো বিষয় নেই। জীবনের একান্ত ব্যক্তিগত কারণেই তিনি বিকেএসপি ছেড়েছেন।
২১ ডিসিপ্লিনের জন্য বিকেএসপিতে শতাধিকের উপর কোচ রয়েছেন। অবসর, বদলি, স্বেচ্ছায় চাকুরি ত্যাগ মিলিয়ে পদ শুন্য হয় প্রায়ই। সেই পদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিকেএসপি। 'আমাদের এখন প্রায় ১২০ জনের মতো কোচ রয়েছে। রাজস্ব খাতে ১৩ জন কোচের পদ শূন্য ছিল। সেটা পূরণের প্রক্রিয়া চলছে’, বলেন পরিচালক প্রশিক্ষণ।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0