আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: আব্রাহাম চুক্তির আওতায় আরও কয়েকটি দেশ শিগগির ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
বুধবার (২৫ জুন) সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা বড় কিছু ঘোষণার অপেক্ষায় আছি।’
২০২০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে এ চুক্তির পরিধি আরও বিস্তৃত করা।
স্টিভ উইটকফ বলেন, ‘আমরা এমন কিছু দেশের সঙ্গে কাজ করছি, যাদের নিয়ে কেউ ভাবেনি যে, তারা কখনো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে; কিন্তু আমরা সে লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।’
তিনি আরও জানান, এই উদ্যোগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় পরবর্তী ধাপের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে স্টিভ উইটকফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ ও অস্ত্রায়নের বিষয়টি ‘রেড লাইন’। তবে তিনি আশাবাদী যে, একটি সামগ্রিক শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আসুক এবং এই অঞ্চলে শান্তির বার্তা আরও ছড়িয়ে পড়ুক।’
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, আব্রাহাম চুক্তির সম্প্রসারণ কেবল মার্কিন সাফল্য নয়, এটি ইসরায়েলের আঞ্চলিক বৈধতা বৃদ্ধি ও ইরানবিরোধী জোট গঠনের কৌশল হিসেবেও কাজ করছে। তবে নতুন দেশগুলোর নাম এখনো প্রকাশ না করায় জল্পনা তুঙ্গে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি সৌদি আরব বা ইন্দোনেশিয়ার মতো বড় মুসলিম দেশ এই চুক্তিতে যুক্ত হয়, তাহলে সেটি হবে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন।
তথ্যসূত্র : দ্য জেরুজালেম পোস্ট
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0