বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। পরে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এদিকে, ২৬ মে আদালতের ৩০ দিনের সময়সীমা শেষ হলেও শপথ পড়ানো হয়নি ইশরাককে। আর মেয়রের পাঁচ বছরের মেয়াদও শেষ হয়ে যায় চলতি জুন মাসের শুরুতে।
তবে নগর ভবন দখলে নিয়ে নিজেকে ‘মেয়র’ দাবি করে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন ইশরাক হোসেন। কয়েকদিন ধরে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে করছেন বৈঠক, দিচ্ছেন বিভিন্ন নির্দেশনা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বলছেন, শপথ ছাড়া তাঁর দায়িত্ব পালনের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বরং এই পরিস্থিতিতে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা। তবে বিষয়টি এমন পরিস্থিতে নিয়ে যাওয়ায় সরকার দায় এড়াতে পারে না বলে মত অনেক আইনজীবীর।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইশরাকের এই আন্দোলনের এখন আর কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি আইন, নৈতিকতা এবং বিএনপির নীতিকে ভেঙেছেন। শপথ নেওয়ার আগে তিনি তাঁর কার্যক্রম শুরু করতে পারেন না।’
সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, ‘যদিও আদালতের একটি আদেশে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, কিন্তু সেই সময়সীমাও শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং আজ যদি ওনার কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ে, ওনার কারণে যদি ঝামেলা হয় তাহলে উনিই দায়ী থাকবেন। পাশাপাশি যারা সরকারে আছেন, স্থানীয় সরকারে আছেন, এমনি প্রধান উপদেষ্টাও এই দায় থেকে মুক্ত হবেন না।’
এদিকে, আদালতের রায় এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট থাকায় ইশরাকের মেয়র দাবি করার আইনি অধিকার রয়েছে বলে মত অনেক আইনজীবীর। তবে শপথ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাঁদেরও।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আপিল বিভাগও তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছেন। তার মানে আইন অনুযায়ী তিনি মেয়র। একটা টেকনিক্যাল জায়গায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। শপথ পড়ানোর পরও বলা যেত, সময় শেষ। ইচ্ছা করে তাঁকে শপথ পড়ানো হচ্ছে না।’
মেয়রের ইস্যুটি এখনো সমাধান না হওয়ায় সরকার, ইশরাক ও বিএনপি সব পক্ষই প্রশ্নবিদ্ধ, এমন মত বিশ্লেষকদের।
বাংলাফ্লো/এসকে
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0