বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকান্ডের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতে দুটি মামলা করা হয়েছিল। ভারতের মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে জমা দিলেও বাংলাদেশের মামলার তদন্ত ১ বছরেও শেষ হয়নি। ১ বছরে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জমার তারিখ পিছিয়েছে ১০ বার। অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) থেকে এ মাসের ১৫ মে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার সদ্যবিদায়ী তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, আনারের ডিএনএ রিপোর্ট পেলেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে।
জানা গেছে, গত বছরের ১২ মে গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রবেশ করেছিলেন আনোয়ারুল ইসলাম। ১৩ তারিখ নিখোঁজ হন তিনি। ১৮ তারিখ কলকাতার অদূরে বরাহনগর থানায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস নিখোঁজ ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর ২২ মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্স নামের একটি বহুতল ভবনে আনারের খুন হওয়ার কথা জানায় ভারতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। খুন হওয়ার দাবি করা হলেও আনারের দেহ পায়নি তদন্তকারীরা। যদিও ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে সন্দেহজনক মাংসখণ্ড উদ্ধার করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।
এ পর্যন্ত মামলায় ৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্য ছয়জন দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। গত ২১ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় আদালত আগামী ২৭ মে দিন ধার্য করেন।
আসামিরা হলেন, সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তাদের মধ্যে মিন্টু ছাড়া ছয়জনই দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে ৭ আসামি কারাগারে আছেন।
২০২৪ এর ১৯ আগস্ট উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত আদালতে ৮৭ দিনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১২০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সাবেক এমপি আনার হত্যার ঘটনায় অন্যতম দুই আসামি কসাই জিহাদ হাওলাদার ও মোহাম্মদ সিয়ামকে অভিযুক্ত করেছে সিআইডি।হত্যা করার আগে এবং পরে কীভাবে আনারের মরদেহ লোপট করা হয় এরও বিবরণও তুলে ধরেছেন সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার জন্য তাদের আসামি করেছে। এখনও সেই মামলা বহাল আছে।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0