Logo

ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর প্রাণ গোপালের মেয়ে মুক্ত

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিন্দিতা দত্তকে ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন সেনা সদস্যরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিন্দিতা দত্তকে ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন সেনা সদস্যরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে।

রোববার বেলা আড়াইটার দিকে সেনা সদস্যরা ডা. অনিন্দিতাকে ধানমন্ডিতে তার বাসায় পৌঁছে দেন। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছিল। পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।”

এর আগে সকাল ৮টায় অফিসে আসার পর একদল লোক ডা. অনিন্দিতাকে ক্যান্সার ভবনে তার কার্যালয়ে আটকে রাখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ জানান, “তাকে আটক করা হয়েছিল এবং আমরা তার সঙ্গে বন্দি অবস্থায় ছিলাম। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল।”

ডা. অনিন্দিতা দত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার বাবা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন বিএসএমএমইউর উপাচার্য ছিলেন। ২০২১ সালে তিনি কুমিল্লা-৭ আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়।

এক চিকিৎসক জানান, সম্প্রতি সরকার পরিবর্তনের পর ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুমিল্লায় কয়েকটি মামলা হয়েছে, যেখানে ডা. অনিন্দিতাকেও আসামি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “সরকার পরিবর্তনের পর অনিন্দিতা দত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করেছিলেন। গত দুদিন ধরে তিনি আবার অফিসে আসছেন।”

সকালে একদল লোক ক্যান্সার ভবনের চার তলায় ডা. অনিন্দিতাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, “আমরা ঘটনাটি জানতে পেরেছি এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।”

অনিন্দিতা দত্তকে যারা আটকে রেখেছিলেন, তাদের একজন রুবেল আহমেদ নিজেকে শাহবাগ থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের কর্মী হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমরা তাকে খুঁজছিলাম এবং মামলার বাদীর তথ্যে এখানে এসেছি।”

তবে শাহবাগ থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আমাদের কোনো কর্মী সেখানে যায়নি।”