জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে সাজ্জাদ হোসেন সাকিব নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকালে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের হরিপুর এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, গ্রেপ্তারকৃত সাজ্জাদ হোসেন সাকিব জামায়াত নেতা সামিউল হক ফারুকীর ভাতিজা। তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার সঙ্গে সংগঠনটির কোনো সম্পর্ক নেই।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হরিপুর এলাকায় মাটি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেন সাজ্জাদ হোসেন সাকিব ও তার সহযোগী মনির হোসেন জুয়েল। তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের জানান, প্রতি সপ্তাহে ডিসি অফিস ও এসপি অফিসে ৩৩ হাজার টাকা দিতে হবে।
এর আগেও তারা মো. রেজাউল করিমের কাছ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা চাঁদা নেয়। সোমবার বিকালে চুক্তির টাকা নিতে গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন দুইজনকে ঘেরাও করে। তবে মনির হোসেন জুয়েল কৌশলে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে সাজ্জাদ হোসেন সাকিবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি মো. শফিকুল ইসলাম) জানান, ভুক্তভোগী মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে সাজ্জাদ হোসেন সাকিবের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে জামায়াতের প্রেস ও মিডিয়া সেক্রেটারি জাকিউল ইসলাম এবং জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক দাবি করেন, সাজ্জাদ হোসেন সাকিব জামায়াত বা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য নন। অন্যদিকে, জামায়াত নেতা ড. সামিউল হক ফারুকীর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।