Logo

শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডের দাপট

আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো। এরপরও সার্বিক বাজারে দরপতনের পাল্লা ভারি হয়েছে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো। এরপরও সার্বিক বাজারে দরপতনের পাল্লা ভারি হয়েছে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। তবে ডিএসইর মতো সিএসইতেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টির দাম বাড়ে। অন্যদিকে একটির দাম কমে এবং তিনটির দাম অপরিবর্তিত থাকে। গতকালের ধারাবাহিকতায় আজও দাম বেড়েছে বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের। ২৪টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে চারটির এবং আটটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড দাপট দেখালেও অন্য খাতের কোম্পানিগুলো বিপরীত পথে হেঁটেছে। পচা বা ‘জেড’ গ্রুপের ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৩৬টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ‘এ’ গ্রুপের ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১১৭টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ‘বি’ গ্রুপের ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ৩৩টি এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৫০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬টির। আর ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দুই পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ২০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্য সূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৫১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরা ব্যাংক।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফু-ওয়াং ফুড, লাভেলো আইসক্রিম, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, ইভিন্স টেক্সটাইল এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৯টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় তিন কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

জেবি