Logo

ভারত- পাকিস্তানকে ধৈর্য ও সংযমের আহ্বান এনসিপির

পাকিস্তানে ভারতের আকস্মিক হামলা দুই দেশের চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে এবং যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করেছে। উভয় পক্ষকে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতির স্বার্থে যথাযথ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো ডেস্ক

ঢাকা: মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ভারতের আকস্মিক হামলা দুই দেশের চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে এবং যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করেছে।

উভয় পক্ষকে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতির স্বার্থে যথাযথ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান এনসিপির।

বুধবার (৭ মে) দুপুরে পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত সাক্ষরিত গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,ঘটনাটি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সরাসরি আঘাত করেছে,যা খুবই উদ্বেগজনক।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়,বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের এবং এর সার্বভৌম নাগরিকদের দ্বারা সংগঠিত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়,ভারতে অবস্থানরত পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের হাজার নেতাকর্মী বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি। তারা সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জান-মালের ক্ষতি করতে সক্রিয় রয়েছে। অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চক্রান্ত করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,এনসিপি মনে করে,বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।

সালেহ উদ্দিন সিফাত সাক্ষরিত ঐ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়,জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে এনসিপি সক্রিয় ভূমিকা পালনের দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। জনগণের সংগঠিত শক্তি এবং সর্বাত্মক সতর্কতাই বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র ও বৈদেশিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,তারা যেন সীমান্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে।

বাংলাফ্লো/এসএস

Leave a Comment

Comments 0