Logo

পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত দুদকের

ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কার কী ভূমিকা ছিল, তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোর পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী আইনি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ফাইল ছবি

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা গেছে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাটি ঘিরে আবারও তৎপর হয়েছে সংস্থাটি।

সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়ার ভূমিকাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে দুদক। ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কার কী ভূমিকা ছিল, তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোর পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী আইনি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে যে বিভ্রান্তি ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল, সেসবের যথেষ্ট উপাদান থাকলেও শেষ পর্যন্ত আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (এফআরটি) দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। তাঁরা মনে করছেন, মামলাটি অনেকটা ‘গায়ের জোরে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে’। এ কারণে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের অনুদান স্থগিতের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এসে ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর বনানী থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ। মামলায় মোট ৭ জনকে আসামি করা হয়। প্রধান আসামি ছিলেন তৎকালীন সেতু সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া।

তাকে গ্রেফতার করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান এবং পুনরায় চাকরিতে ফিরে আসেন।

মামলায় অন্য ছয়জন আসামি হলেন-সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদীশাসন) কাজী মো. ফেরদৌস, সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালটেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এসএনসি লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তফা, এসএনসি-লাভালিনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহ ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস।

বাংলাফ্লো/এনআর

Leave a Comment

Comments 0