আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: মার্কিন সরকার ভর্তুকি বন্ধ করে দিলে মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যবসা গুটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক সময়ের আস্থাভাজন এবং ‘প্রিয় পাত্র’ হিসেবে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে ব্যবসায়ীক ভর্তুকি নিচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক।
মঙ্গলবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যারে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “ইলন যে পরিমাণ সরকারি ভর্তুকি নিচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে কেউ কখনও এত পরিমাণ ভর্তুকি পায়নি। যদি এই ভর্তুকি তিনি না পেতেন, তাহলে সম্ভবত এতদিনে তাকে ব্যবসা গুটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হতো।”
“আর কোন রকেট উৎক্ষেপণ, উপগ্রহ, অথবা বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন নয়, এবং আমাদের দেশ বিশাল অর্থ সাশ্রয় করতে পারবে। সম্ভবত আমাদের ডজ (যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় কমানো এবং কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত দপ্তর, একসময় যেটির প্রধান ছিলেন মাস্ক)-এর উচিত এটা ভালো করে দেখে নেওয়া? অনেক টাকা বাঁচাতে হবে!!!”
সম্প্রতি আবারও ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ব্যয় পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা, নভোযান এবং মহাকাশ অভিজানের সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি বলেছেন, এই বিল দেশকে অনিয়ন্ত্রিত ঋণের পথে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা একদলীয় দেশের বাসিন্দা এবং এখন সময় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের। যেটি সত্যিকার অর্থে সাধারণ মানুষের কথা বলে।
মূলত মাস্ক যে বিলটির কথা বলছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ঋণসীমা ৫ লক্ষ কোটি (ট্রিলিয়ন) ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। মাস্ক এই পরিকল্পনাকে “পাগলামী পর্যায়ের খরচ” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, দুই দলের রাজনীতিবিদরা বাজেট ও ঋণের বিষয়ে দায়িত্বশীল নয়।
তবে মঙ্গলবার মাস্ক এক্সে এই পোস্ট দেওয়ার পরই ট্রুথ সোশ্যালে পাল্টা পোস্ট দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগেও এই বিল নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোয় গত মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল মাস্ককে।
সূত্র : আলজাজিরা, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0