আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: ১৯৬৭ সালের পর এবারই পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বড় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরের আরুরা এবং আবওয়েইন শহরের ফিলিস্তিনি ভবনগুলোতে অভিযান চালিয়ে মালিকদের উচ্ছেদ করে সেগুলোকে সামরিক ব্যারাকে পরিণত করেছে ইসরাইল।
সারা বিশ্বের নজর যখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের দিকে তখন ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী আইডিএফ। ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া বুভুক্ষু ফিলিস্তিনিদের প্রায় প্রতিদিনই নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বাড়িঘরে নিয়মিত তল্লাশি চালাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের আরুরা এবং আবওয়েইন শহরের বাড়িঘর ও বিভিন্ন ভবন, পাশাপাশি রামাল্লার নুবানি খামারগুলোতে অভিযান চালিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী শহরগুলোতে গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে, একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি ভবনগুলোতে অভিযান চালিয়ে মালিকদের উচ্ছেদ করে সেগুলোকে সামরিক ব্যারাকে পরিণত করেছে।
এদিকে গাজা নিয়ে আরেকটি গভীর উদ্বেগজনক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। তারা বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে কয়েকবার করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার বেশির ভাগ মানুষ—যা ১৯৪৮ সালের ‘নাকবা’র (আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘বিপর্যয়’) সঙ্গে তুলনীয়।
ইউএনআরডব্লিউএর ভাষ্যমতে, ‘৭৭ বছর পরও ফিলিস্তিনিরা নিয়মিত উচ্ছেদ হচ্ছেন।’ তাদের মতে, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে যেভাবে ঘরছাড়া করা হয়েছিল, বর্তমানেও গাজায় তেমনই আরেকটি মানবিক বিপর্যয় ঘটছে।
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0