Logo

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব দেখতে চান নেতানিয়াহুর মন্ত্রীরা

গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকের আগে দিয়ে এই পিটিশন জারি করা হলো।

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঢাকা: চলতি মাসে পার্লামেন্টের অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ দেখতে চান ইসরাইলের একাধিক মন্ত্রী।

এ বিষয়ে বুধবার (২ জুলাই) পার্লামেন্ট স্পিকার আমির ওহানাসহ ১৫ জন মন্ত্রী একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকের আগে দিয়ে এই পিটিশন জারি করা হলো। সেখানে লেখা হয়, আমরা নেসেট (পার্লামেন্ট) সদস্য ও ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা জুদেয়া ও সামারিয়াতে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব ও আইন প্রয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীরের দখল নেয় ইসরায়েল। ওই অংশের জন্য তারা বাইবেলীয় জুডয়া ও সামারিয়া নাম ব্যবহার করে থাকে।

পিটিশনে বলা হয়, ইরান ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক ও সামরিক সাফল্য এবং ট্রাম্পের সমর্থনে গড়ে ওঠা কৌশলগত অংশীদারিত্বের কারণে এই মুহূর্তে পশ্চিম তীরে দখলদারিত্বের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছে।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এবং কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার পিটিশনে স্বাক্ষর করেননি। তিনি সোমবার থেকে ওয়াশিংটনে ইরান ও গাজা ইস্যুতে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণ প্রমাণ করেছে যে, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি ইহুদি বসতির ধারণা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অধিকাংশ দেশ পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করে। ফিলিস্তিনিদের বসতির মধ্যে এসব বসতি এবং সংযোগকারী সড়ক বিভাজন তৈরি করছে, যা একটি স্বাধীন ও সংহত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

বাংলাফ্লো/আফি

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0