আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সরবরাহ বিঘ্নের আশঙ্কা কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর পতন হয়েছে। মঙ্গলবার ইউরোপীয় সময় বাজার খোলার পরও এই পতনের ধারা অব্যাহত থাকে।
মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়ায় ৬৫.৯ ডলার, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় পতন। অন্যদিকে, বৈশ্বিক মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত ব্রেন্ট ক্রুডের দামও ৩.৮ শতাংশ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮.৮ ডলার প্রতি ব্যারেল।
এর আগে সোমবার, ইরান কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর সীমিত ও লক্ষ্যভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে তেলের বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়। সেদিন মার্কিন ক্রুডের দাম এক দিনেই ৭.২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬৮.৫১ ডলার, যা এপ্রিলে শুরু হওয়া বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দৈনিক পতন এবং গত তিন বছরের মধ্যে অন্যতম বড় ধস।
ব্রেন্ট তেলের দামও ৭.২ শতাংশ কমে গিয়ে ৭১.৪৮ ডলারে পৌঁছায়, যা আগস্ট ২০২২ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এই অস্থিরতার মধ্যে গতকাল রাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ‘সম্পূর্ণ এবং পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির’ ঘোষণা দেন।
পরে তিনি জানান, যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর রয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করেছে। তবে এ যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি ও সময়সীমা এখনো পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে জ্বালানির সরবরাহব্যবস্থা আবার স্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র : বিবিসি, সিএনএন
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0