আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রধান উপদেষ্টা আলি শামখানির মৃত্যৃ হয়েছে বলে দাবি করএছিলো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ইরানেরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
হামলার ঘটনার দু’সপ্তাহ পরে গতকাল শনিবার (২৮ জুন) সেই উপদেষ্টা ইরানের এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন। জানালেন, ‘ইসরায়েলকে ভয় পান না।’ কীভাবে ইসরায়েলি হামলার পরে তিনি বেঁচে গেলেন, তার ব্যাখ্যাও দেন শামখানি।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে নতুন করে সামরিক অস্থিরতা শুরু হয়। দুই দেশের যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েলের নিশানা ছিল ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলো। তবে বাদ পড়েননি সে দেশের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তা, সেনা কর্মকর্তা এবং পরমাণু বিজ্ঞানীরাও।
প্রথম দিনের হামলাতেই শামখানির মৃত্যু হয়েছিল বলে প্রথমে দাবি করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। পরে ইরানেরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একই দাবি করা হয়।
কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে জানা যায়, শামখানি মারা যাননি। ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সুস্থ হয়ে তাঁর বাড়ি ফেরার পর ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলো বিবৃতি দিয়ে জানায়, শামখানি বেঁচে আছেন! তিনি নিজেও এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানান, ইসরায়েলি হামলার দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা রয়েছে ইরানের।
এবার শামখানির একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এল। সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ বলছে, আইআরইনএনএন টিভিতে গতকাল শনিবার এই সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ১৩ জুন ভোরে কী ঘটেছিল। তাঁর কথায়, ‘‘সে দিন যখন ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়, তখন আমি সবে ঘুম থেকে উঠেছি। প্রার্থনা করার সময় হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির সবাই তখন ঘুমোচ্ছিল। আচমকাই আমার গোটা বাড়ি ভেঙে পড়ে।’
শামখানি বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকেই ফজরের নামাজ আদায় করি। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি ভূমিকম্প। কিন্তু যখন গাড়ির শব্দ শুনি, তখন বুঝতে পারি যে এটি একটি সামরিক হামলা ছিল।’
শামখানি জানান, তিন ঘণ্টা ওই অবস্থায় পড়েছিলেন। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।
শামখানি বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে বার হওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। অনেকক্ষণ পর উদ্ধারকারী দলকে দেখতে পাই। তখন তাদের উদ্দেশে বলেছিলাম, আমি এখানে আছি! আমার চিৎকার শুনে উদ্ধারকারী দল এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।’
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0