আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনোই বন্ধ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির-সাঈদ ইরাভানি।
কারণ পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধে করা চুক্তির অধীনে শান্তিপূর্ণ জ্বালানির উদ্দেশ্যে তাদের এই প্রকল্প অনুমোদিত। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে রোববার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
ইরাভানি বলেন, ‘সমৃদ্ধকরণ আমাদের অধিকার, একটি অবিচ্ছেদ্য অধিকার, এবং আমরা সেই অধিকার বাস্তবায়ন করতে চাই। ইরান সমঝোতা করতে রাজি ছিল। কিন্তু শর্ত ছাড়াই আত্মসমর্পণ করা কোনো সমঝোতার অংশ হতে পারে না। এর মানে আমাদের দিকে স্বৈরাচারের মতো পলিসি ছুড়ে দেওয়া।’
তবে ইরাভানি বলেন, ‘তেহরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু এই আগ্রাসনের পর নতুন করে আলোচনা শুরুর মতো কোনো উপযুক্ত পরিবেশ নেই এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক বা আলোচনার জন্য কোনো অনুরোধও আসেনি।’
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের এই দূত দাবি করেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি কিংবা সংস্থার পরিদর্শকদের প্রতি তাদের সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি নেই। উল্লেখ্য, বর্তমানে আইএইএ পরিদর্শকরা ইরানে অবস্থান করছেন, তবে তারা দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না।
আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিকে গ্রেপ্তার কিংবা মৃত্যুদণ্ডের দাবি করা হলে নিন্দা জানাবেন কিনা–এমন প্রশ্নের জবাবে ইরাভানি বলেন, তিনি এই দাবির নিন্দা জানাবেন। এ রকম কোনো হুমকি নেই। তবে আইএইএকে সহযোগিতা না করার ব্যাপারে মত দিয়েছে ইরানি পার্লামেন্ট। তারা ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না।
কূটনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে তেহরান আগ্রহী ছিল না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ইরাভানি বলেন, ‘তারা আমাদের ওপর স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়েছে। তারা সমঝোতার জন্য প্রস্তুত থাকলে, আমাদেরকেও প্রস্তুত হিসেবেই পেত। তারা আসলে স্বৈরাচার, তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা আসলে অসম্ভব।’
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল মনিটর বলছে, আমেরিকার সঙ্গে চুক্তির সময় ইরান তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অন্য দেশে সরিয়ে নিতে পারে বলে জানান ইরাভানি। তবে তা কোথায় সরানো হতে পারে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0