আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: ৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার নেমে এসেছে ৪.৪৯ শতাংশে, যা গত অর্থবছরের ২৩.৪১ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
মূলত দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে খাদ্য ও পরিবহন খরচ কমায় মুদ্রাস্ফীতিতে বড় প্রভাব দেখা গেছে। বুধবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির এই পতনের পেছনে মূল কারণ হলো আগের বছরের উচ্চ ভিত্তি, খাদ্যপণ্যের দাম কমা এবং পরিবহন ব্যয়ের হ্রাস। এবারের মুদ্রাস্ফীতি ৯ বছরে আগের তথা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের পর সবচেয়ে কম মুদ্রাস্ফীতি। সেবছর মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল মাত্র ২.৯ শতাংশ।
দ্য ডন বলছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাকিস্তান বর্তমানে ডিসইনফ্লেশন পর্যায়ে রয়েছে, অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির গতি কমছে। তবে এটি ডিফ্লেশন নয়, যেখানে সামগ্রিক মূল্যস্তর কমে যায়।
পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস) জানায়, গত ৫৩ মাসে ভোক্তা পণ্যের গড় দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচকে এখনও অনেক বেশি করে রেখেছে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে এনেছে ৫-৭ শতাংশে (আগের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ শতাংশ)। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি হবে ৯.৫ শতাংশ, যা আগের ১২.৭ শতাংশের পূর্বাভাস থেকে কম।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য শেহবাজ শরিফের সরকার মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭.৫ শতাংশ।
এদিকে সদ্যসমাপ্ত জুন মাসে মাসিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৩.২ শতাংশ, যা গত মে মাসের ৩.৫ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম। এছাড়া সিপিআই-ভিত্তিক মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতি বেড়েছে মাত্র ০.২ শতাংশ।
জুনে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল শহরে ৪.২ শতাংশ এবং গ্রামে ২.৪ শতাংশ। অখাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি শহরে ছিল ২.২ শতাংশ, গ্রামে ৪.৭ শতাংশ। মূলত টানা চার মাস ধরে দাম কমার পর, জুনে খাদ্যপণ্যের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0