আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: ইসরায়েলের সাথে ১২ দিনের সংঘাত শেষে ইরানে প্রায় ৬০ জন নিহত ব্যক্তির রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা।
শনিবার(২৮জুন) তেহরানের কেন্দ্রস্থল ইংলাব স্কয়ারের কাছে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনগুলো বহন করে জনতা শোক প্রকাশ করে। কফিনের ওপর নিহতদের ছবি সংযুক্ত ছিল এবং আশপাশে হাজার হাজার মানুষ কালো পোশাকে স্লোগান দিতে দিতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি। তার পাশাপাশি ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডসের প্রধান হোসেইন সালামি এবং আজাদ ইউনিভার্সিটির প্রধান ও বিশিষ্ট পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচিও রয়েছেন।
এই সংঘাতের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করে এবং ইরানের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। সম্প্রতি একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
এরপর শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রয়োজনে আবারও ইরানে হামলা চালানো হবে। বিবিসির সাংবাদিক নোমিয়া ইকবালের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুরুতর মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির প্রমাণ পেলে, আমি নির্দ্বিধায় আক্রমণ করবো।
ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেইকে নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, আমি জানি সে কোথায় লুকিয়ে ছিল, আমি চাইলে তাকেও শেষ করে দিতে পারতাম। আমি তাকে বাঁচিয়েছি, যদিও ধন্যবাদ চাওয়ার দরকার নেই।
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, খামেনেই সম্পর্কে এমন অসম্মানজনক বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। একটি চুক্তি করতে চাইলে, যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের সর্বোচ্চ নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, সাম্প্রতিক মার্কিন-ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে \গুরুতর ক্ষতি\ হয়েছে।
আরাগচি আরও বলেন, ইরানিরা দেখিয়েছে, ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীকে টিকে থাকতে আমেরিকার কাছে সাহায্য
বাংলাফ্লো/এসকে
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0