Logo

সুপারমডেল মিলিন্দ সোমেনের ডায়েট রুটিন

ভাজাপোড়া খাবার ও ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় শরীরে টক্সিন জমাতে সাহায্য করে, যা তিনি সর্বদা পরিহার করেন।

মিলিন্দ সোমেন

বাংলাফ্লো লাইফস্টাইল

ঢাকা: ভারতের জনপ্রিয় সুপারমডেল, অভিনেতা এবং ফিটনেস আইকন মিলিন্দ সোমেন শুধু তাঁর চমৎকার শারীরিক গঠন ও অনবদ্য ফ্যাশন সেন্সের জন্যই পরিচিত নন, বরং স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা ও প্রাকৃতিক জীবনধারার জন্যও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। ৫০ পেরিয়ে গেলেও তাঁর ফিটনেস ও তরুণ চেহারা দেখে যে কেউ অবাক হবেন। সম্প্রতি তিনি তাঁর সুপারমডেল সময়কার খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছেন, যা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।

মিলিন্দ সোমেন মূলত একজন প্রশিক্ষিত পেশাদার সাঁতারু ছিলেন, যা তাঁর শারীরিক ফিটনেস এবং খাদ্যাভ্যাসে বিশাল প্রভাব ফেলেছে। ছোটবেলা থেকেই কঠোর ট্রেনিং ও নিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যসচেতন মনোভাব গড়ে ওঠে।

তিনি চা, কফি এবং যেকোনো ধরনের ভাজাপোড়া খাবার থেকে দূরে থাকেন। তাঁর মতে, এসব খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং দীর্ঘমেয়াদে শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। বিশেষ করে ভাজাপোড়া খাবার ও ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় শরীরে টক্সিন জমাতে সাহায্য করে, যা তিনি সর্বদা পরিহার করেন।

অনেকের ধারণা, সকালে ঘুম থেকে উঠে ফলের রস খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কিন্তু মিলিন্দ একমত নন। তাঁর মতে, খালি পেটে ফলের রস পান করলে রক্তে হঠাৎ করে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই তিনি ফলের রসের বদলে সম্পূর্ণ ফল খাওয়াকেই অধিক উপকারী মনে করেন, যেহেতু এতে ফাইবার থাকে এবং চিনির মাত্রা ধীরে রক্তে মিশে।

তিনি মনে করেন, খাবারের সঙ্গে পানি খাওয়া কোনো সমস্যা নয়। তবে যারা খাবারের পরে চা বা কফি পান করতে চান, তাদের অন্তত এক ঘণ্টা অপেক্ষা করা উচিত, যাতে পাচনতন্ত্র ঠিকভাবে কাজ করতে পারে এবং ক্যাফেইন হজমে বাধা না দেয়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও মিলিন্দ সোমেনের এই অভ্যাসগুলোকে যথেষ্ট স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে করেন। তাঁরা মনে করেন, যেকোনো ধরনের তরল খাবার—বিশেষ করে ফলের রস বা ক্যাফেইন—নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় এবং সঠিক সময়েই খাওয়া উচিত। শরীরের প্রাকৃতিক বিপাকক্রিয়া ও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মিলিন্দ সোমেনের জীবনযাপন এবং ডায়েট রুটিন আমাদের শেখায় যে স্বাস্থ্য একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। কেবল চেহারা বা শরীরের আকৃতি নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও সুশৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন। তাঁর মতো স্বাস্থ্যবান থাকতে হলে আমাদেরও সচেতনভাবে খাবার বেছে নেওয়া, সঠিক সময় মেনে খাওয়া এবং প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

সূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বাংলাফ্লো/আফি

Leave a Comment

Comments 0