ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ ব্যাহত হচ্ছে এবং আকাশসীমা কখনো কখনো বন্ধ রাখা হচ্ছে।
ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে নতুন সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর এটাই এ ধরণের আত্মঘাতি হামলার প্রথম নজির।
“অনেক মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে কিংবা রাস্তায় পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকারীরা অনেক জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন না।”
সকালে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য নিঃশ্বাস বন্ধ করে অপেক্ষা করছে, এটি কি এই সংঘাতের সমাপ্তির সূচনা, নাকি যুদ্ধের আরও মারাত্মক প্রাণঘাতি পর্যায়ের শুরু?
যুদ্ধের এই আগুন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়বে নাকি কুটনীতির মাধ্যমে সুরাহা হবে তা নির্ভর করবে ইরানের পরবর্তী সামরিক সিদ্ধান্তে।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, 'এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য ট্রাম্প ইতিহাসের পাতায় সোনালি অক্ষরে নিজের নাম লিখে দিয়েছেন।'
'ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, যেন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করা হয়। তিনি আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন। তাদের অনেক সুযোগ দিয়েছেন।'
'আমরা একটি খাল নির্মাণ করে যে পানি পাকিস্তানে যাচ্ছিল, তা রাজস্থানে নিয়ে আসব। পাকিস্তান অন্যায়ভাবে যে পানি পাচ্ছিল, তা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হবে।’
‘‘যেকোনও যুক্তিই দেখানো হোক না কেন, একটি সার্বভৌম দেশের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানোর মতো এই দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’’
'পরমাণু অস্ত্র বানানোর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইরানের ওপর হামলা চালানোর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। এর জন্য আমেরিকাই দায়ী।'
`যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন। এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়েছে।'
'পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় উদ্বেগের ব্যাপার হলো, এই ধরনের আঘাত ইরানকে দ্রুত পারমাণবিক বোমা তৈরির দিকে ঠেলে দিতে পারে।'
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে ‘বর্বরোচিত হামলা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইরানকে দুই সপ্তাহের সময়সীমা দিয়ে শনিবার রাতেই ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে তিনি এরই মধ্যেই পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছেন।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিভিন্ন এয়ারলাইন্স মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তীর্ণ আকাশপথ এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে।